দুর্নীতির দায়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহার সাজার রায়
আদালত প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 09 Nov 2021 01:27 PM BdST Updated: 09 Nov 2021 08:12 PM BdST
-
সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা (ফাইল ছবি)
-
রায়ের দিন আদালতে বাবুল চিশতী
-
সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা (ফাইল ছবি)
-
বিচারপতি এসকে সিনহা (ফাইল ছবি)
-
বিচারপতি এসকে সিনহা (ফাইল ছবি)
-
-
-
-
ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতিরি অভিষেক ও বিশেষ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
-
-
Chief Justice Surendra Kumar Sinha speaks at a programme organised by the Chittagong District Lawyers Association at the lawyers’ auditorium on Wednesday. Photo: suman babu
ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাত ও পাচারের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে দুটি ধারায় ১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালতে।
Related Stories
গত চার বছর ধরে বিদেশে অবস্থানরত এসকে সিনহাই বাংলাদেশের প্রথম সাবেক প্রধান বিপারপতি, যিনি দুর্নীতিতে দোষী সাব্যস্ত হলেন।
ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) এই ঋণ আত্মসাতের মামলার ১১ আসামির মধ্যে আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত, খালাস পেয়েছেন দুজন।
ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালত বিচারক শেখ নাজমুল আলম মঙ্গলবার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
১৮২ পৃষ্ঠার এই রায়ের পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, ফার্মার্স ব্যাংকের যে ‘ক্রেডিট পলিসি’ রয়েছে, প্রভাব খাটিয়ে তা লঙ্ঘন করে সাবেক প্রধান বিচারপতির জন্য ঋণ অনুমোদন করা হয়েছিল। সেই অর্থ যে পাচার হয়েছিল, সেটাও এ মামলায় প্রমাণিত হয়েছে।
দুটি ধারায় কারাদণ্ডের পাশাপাশি এস কে সিনহাকে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই অর্থ না দিলে তার সাজা আরও ছয় মাস বাড়বে। এছাড়া তার অ্যাকাউন্টে অবরুদ্ধ থাকা ৭৮ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।
পলাতক থাকায় এ মামলায় এস কে সিনহার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
অন্য আসামিদের আইনজীবী মো. শাহীনুর ইসলাম অনি রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, “কোনো ভায়োলেশন ছিল না।… পূর্ণাঙ্গ আইন মেনেই সবকিছু করা হয়েছে। দুইজন গ্রাহককে ইতোমধ্যে খালাস দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ গ্রাহক ভুয়া না। এখানে ভুয়া কোনো গ্রাহক ছিল না। যে পরিমাণ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল, তার অধিকাংশই আবৃত আছে ঋণের সিকিউরিটি হিসাবে।”
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানান এই আইনজীবী।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, “আইনের ঊর্ধ্বে কেউ না। অপরাধী যতো বড় শক্তিশালী হোক না কেন, যত বড় পদেই আসীন থাকেন না কেন, আইনের আওতায় তাকে আসতে হবে। যদি অপরাধ প্রমাণিত হয়, সাজা ভোগ করতে হবে।”
এই আইনজীবী বলেন, “প্রধান বিচারপতি পদে থাকাকালে তার যে অবস্থান সেই অবস্থানে থেকে যে কাজগুলো করেছেন, সেটা প্রসিকিউশন সাকসেসফুলি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলেই সাজা হয়েছে। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি।”
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে নজিরবিহীন টানাপড়েনের মধ্যে ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর সেখানে থেকেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলেন এস কে সিনহা। আর কখনও কোনো প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ বাংলাদেশ দেখেনি।
পদত্যাগের চার বছর পূর্ণ হওয়ার ঠিক দুদিন আগে আত্মসাতের এ মামলায় তার সাজার রায় এল, যে অভিযোগ তিনি অস্বীকার করে আসছেন।
এস কে সিনহা বিদেশে যাওয়ার দুই বছর পর এ মামলা দায়ের করেছিল দুদক। এরপর গতবছর ১৩ অগাস্ট ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। এসকে সিনহাকে পলাতক দেখিয়েই এ মামলার বিচার চলে।
রায়ের দিন আদালতে বাবুল চিশতী
বেলা ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা ধরে ইংরেজিতে রায় পড়ে শোনান বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, এসকে সিনহাকে দুটি ধারায় সাজা দিয়েছেন বিচারক।
এর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের ঘটনায় ‘অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের’ দায়ে তার ৪ বছরের সাজা হয়েছে। আর মানি লন্ডারিংয়ের ধারায় দেওয়া হয়েছে সাত বছরের কারাদণ্ড।
দুই ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে সব মিলিয়ে সাত বছর জেল খাটতে হবে সাবেক এই প্রধান বিচারপতিকে। আত্মসমর্পণ করলে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাবেন তিনি।
আসামিদের মধ্যে টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান এবং একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে খালাস দিয়েছে আদালত।
তাদের নামে থাকা ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় অ্যাকাউন্ট খুলেই ঋণ নেওয়া হয় এবং পরে তা সরানো হয় এস কে সিনহার অ্যাকাউন্টে।
তাদের খালাস দেওয়ার যুক্তিতে বিচারক বলেছেন, শাহজাহান ও নিরঞ্জনকে ব্যবহার করে এসকে সিনহা ফার্মার্স ব্যাংক থেকে ঋণ নেন এবং পরে তা পাচার করেন।
জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ আত্মসাতে ‘সহযোগিতার’ জন্য ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীমকে দেওয়া হয়েছে চার বছরের কারাদণ্ড।
এছাড়া ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতীর (বাবুল চিশতী), ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রনজিৎ চন্দ্র সাহা এবং তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়কে দেওয়া হয়েছে তিন বছর করে কারাদণ্ড।
এই ১১ আসামির মধ্যে শুধু বাবুল চিশতী কারাগারে ছিলেন। রায়ের আগে তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা শামীম, স্বপন, লুৎফুল হক, সালাহউদ্দিন ছিলেন জামিনে। তারাও আদালতে হাজির ছিলেন।
এছাড়া এস কে সিনহার মত সাফিউদ্দিন, রনজিৎ ও তার স্ত্রীকে পলাতক দেখিয়েই এ মামলার বিচার চলে।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা (ফাইল ছবি)
নানা নাটকীয় ঘটনার মধ্যে বিচারপতি সিনহা তিন বছর আগে বিদেশে পাড়ি জমানোর পর দুদক অভিযোগ পায়, তিনি ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ব্যবসায়ী পরিচয়ে দুই ব্যক্তির নেওয়া ঋণের চার কোটি টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়েছিলেন।
অভিযোগ পেয়ে ওই বছরই তদন্তে নামে দুদক। দীর্ঘ তদন্তের পর ২০১৯ সালের ১০ জুলাই সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর আসামি শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখায় আলাদা দুইটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। ব্যবসা বাড়ানোর জন্য পরদিন তারা ওই ব্যাংক থেকে দুই কোটি টাকা করে মোট চার কোটি টাকা ঋণের আবেদন করেন।
তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ঋণের আবেদনে উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ৫১ নম্বর বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করা হয়, যার মালিক ছিলেন তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।
ঋণের জামানত হিসেবে আসামি রনজিৎ চন্দ্রের স্ত্রী সান্ত্রী রায়ের নামে সাভারের ৩২ শতাংশ জমির কথা উল্লেখ করা হয় ঋণের আবেদনে। ওই দম্পতি এস কে সিনহার পূর্ব পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে।
দুদক বলছে, ব্যাংকটির তৎকালীন এমডি এ কে এম শামীম কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই, ব্যাংকের নিয়ম-নীতি না মেনে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঋণ দুটি অনুমোদন করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৭ নভেম্বর ঋণের আবেদন হওয়ার পর ‘অস্বাভাবিক দ্রুততার’ সঙ্গে তা অনুমোদন করা হয়। পরদিন মোট চার কোটি টাকার দুটি পে-অর্ডার ইস্যু করা হয় এস কে সিনহার নামে। ৯ নভেম্বর সোনালী ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখায় এস কে সিনহার অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
পরে বিভিন্ন সময়ে ক্যাশ, চেক ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে ওই টাকা উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে এস কে সিনহার ভাইয়ের নামে শাহজালাল ব্যাংকের উত্তরা শাখার অ্যাকাউন্টে দুটি চেকে দুই কোটি ২৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা স্থানান্তর করা হয় ওই বছরের ২৮ নভেম্বর।
এজাহারে বলা হয়, “আসামি রনজিৎ চন্দ্র ঋণ দ্রুত অনুমোদনের জন্য প্রধান বিচারপতির প্রভাব ব্যবহার করেন। রনজিৎ চন্দ্রের ভাতিজা হলেন ঋণ গ্রহীতা নিরঞ্জন এবং অপর ঋণ গ্রহীতা শাহজাহান ও রনজিৎ ছোটবেলার বন্ধু। ঋণ গ্রহীতা দুইজনই অত্যন্ত গরিব ও দুস্থ। তারা কখনও ব্যবসা-বাণিজ্য করেননি।”
পাঁচ মাসের তদন্ত শেষে দুদক কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর ১১ জনকে আসামি করে এ মামলার অভিযোগপত্র দেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে এস কে সিনহার ব্যাংক হিসাবের চার কোটি টাকা জব্দ করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে সেই টাকা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর, উত্তোলন ও পাচার করেছেন, যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২)(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দুদকের করা এই মামলার এজাহারে বাবুল চিশতীর নাম না থাকলেও অভিযোগপত্রে তাকে নতুন করে আসামি করা হয়। আর এজাহারে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদকে আসামি করা হলেও অভিযোগপত্রে মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
বিচারপতি এসকে সিনহা (ফাইল ছবি)
দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালত ২০২০ সালের ১৩ অগাস্ট সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২১ জন সাক্ষীর সবার সাক্ষ্য শোনে আদালত, তাদের মধ্যে এস কে সিনহার আপন বড় ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহা এবং মামাতো ভাইয়ের ছেলে শঙ্খজিৎ সিনহাও রয়েছেন।
তারা দুজনেই বলেন, ‘এস কে সিনহার কথাতেই’ তাদের নামে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা শাখায় হিসাব খোলা হয়েছে। পরে সেই হিসেবে সোয়া দুই কোটি টাকা স্থানান্তরের বিষয়ে তারা ‘জানতেন না’।
অভিযোগপত্রে নাম থাকা ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয় গত ২৪ আগস্ট। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে।
দণ্ডবিধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের যেসব ধারায় এ মামলার অভিযোগ গঠন হয়েছিল, তাতে অপরাধ প্রমাণিত হলে আসামিদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন শাস্তির সুযোগ ছিল।
মৃত্যুদণ্ডের কোনো ধারা না থাকায় এস কে সিনহাসহ পলাতক আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবীকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
গত ৫ ও ২১ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ থাকলেও বিচারক ছুটিতে থাকায় এবং রায় প্রস্তুত না হওয়ায় দুইবারই তা পিছিয়ে যায়। এক মাসের বেশি সময় অপেক্ষার পর মঙ্গলবার সেই রায় এল।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসা বিচারপতি সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে বসেই ২০১৮ সালে একটি বই প্রকাশ করেন। তাতে তিনি দাবি করেন, তাকে ‘পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাসনে’ পাঠানো হয়েছে।
ওই বছর ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন এস কে সিনহা। নিউ জার্সিতে ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে কেনা একটি বাড়িতেই সে সময় তিনি থাকছিলেন।
পরে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে খবর আসে সিনহা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় গিয়ে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন।
বিচারপতি সিনহা ছুটি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলনসহ সুনির্দিষ্ট ১১টি অভিযোগ পাওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। বাকি বিষয়গুলো নিয়ে পরে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি।
পুরনো খবর
‘বেআইনিভাবে’ প্লট নিয়ে ‘অবৈধ টাকায়’ বাড়ি করার মামলা এসকে সিনহার বিরুদ্ধে
আত্মসাৎ: এস কে সিনহার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন ভাই, ভাতিজা
দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা
এস কে সিনহার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ঋণ জালিয়াতি: এস কে সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
ঋণ জালিয়াতির মামলায় ফাঁসলেন বিচারপতি এসকে সিনহা
এবার কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন এস কে সিনহার
সরকার আমাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে: নতুন বইয়ে বিচারপতি সিনহা
আলোচনা-সমালোচনায় বিচারপতি সিনহার ১০৩০ দিন
প্রধান বিচারপতি সিনহার পদত্যাগ
-
দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চাই: শেখ হাসিনা
-
রূপসা রেলসেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়
-
প্রমত্তা পদ্মায় সেতু করাটাই ইতিহাস: প্রধানমন্ত্রী
-
গ্রামীণ টেলিকমকর্মীদের আইনজীবী বললেন, অর্থ পেয়েছি ফি হিসেবে
-
ভিসা অব্যাহতি চুক্তি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে
-
আইন হচ্ছে ‘পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ’
-
দুদকের নতুন ১২ কার্যালয় উদ্বোধন
-
পাকিস্তানে যাতায়াত ছিল যুদ্ধাপরাধী রজব আলীর
সর্বাধিক পঠিত
- বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ম্যাচ পরিত্যক্ত
- ব্যাটিং হতাশার ফাঁকে সাকিব-সোহানের ক্যামিও
- নাম বিভ্রাটে ছেড়ে দিয়ে বিয়ের আসর থেকে ফের গ্রেপ্তার
- এনামুলকে মনে ধরেছে ডমিঙ্গোর, তবে…
- ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সেতু ভ্রমণের অভিজ্ঞতা
- নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত: প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি
- রেকর্ড হারানো লারা অভিনন্দন জানালেন বুমরাহকে
- ভাড়া কমল বরিশাল-ঢাকা নৌপথে
- ‘পাওয়ারফুল’ সোহানকে নিয়ে ডমিঙ্গোর যে আশা
- ওভারে ৩৫ রান দিয়ে ব্রডের বিশ্ব রেকর্ড