শাকিলের আবেদনে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ সোমবার তাকে চার সপ্তাহের জন্য জামিন দেয়।
আদালতে আসামি শাকিলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুরাদ রেজা। আর বাদীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এম সারওয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহিউদ্দিন দেওয়ান।
তবে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল হবে বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী সারওয়ার হোসেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। আশা করি, রাষ্ট্রপক্ষই আপিলে যাবে। যদি রাষ্ট্রপক্ষ না গেলে আবেদনকারী নিজেই যাবে।”
গত বৃহস্পতিবার রাতে এক নারী চিকিৎসক গুলশান থানায় শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। সেখানে শাকিলের বিরুদ্ধে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগও আনা হয়।
তার আইনজীবী সারওয়ার বলেন, “সম্মতিতেই দৈহিক সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু এই সম্মতিটা প্রতারণার মাধ্যমে আদায় করেছে। আর প্রতারণার মাধ্যমে সম্মতি আদায় করলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)ধারায় সেটা ধর্ষণ।”
এর আগে ওই নারী শাকিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন।
সেখানে তিনি বলেন, চাকরির জন্য সাত-আট মাস আগে তিনি শাকিলের কাছে গিয়েছিলেন। তখন তার সঙ্গে শাকিলের ঘনিষ্ঠতা হয়।
এক পর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শাকিল তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে দাবি করে ওই নারী বলেন, তাতে তিনি গর্ভবতী হন। পরে শাকিলের কথায় তিনি ভ্রূণ নষ্ট করলেও শাকিল প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাকে বিয়ে করেননি।
চিকিৎসক হিসাবে যেখানে তিনি চাকরি করতেন, শাকিল ‘প্রভাব খাটিয়ে’ সেখান থেকে তাকে ছাঁটাই করান বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ওই নারী।
এ বিষয়ে শাকিলের ভাষ্য, তিনি ‘ষড়যন্ত্রের লক্ষ্যবস্তু’ হয়েছেন। তদন্তেই সত্য বের হয়ে আসবে।
শুক্রবার মামলাটির এজাহার গ্রহণ করে ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সাঈদ আগামী ২৩ নভেম্বরের মধ্যে গুলশান থানার পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
এর মধ্যেই সোমবার উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন নিলেন শাকিল আহমেদ।