লঞ্চের ভাড়া ৩৫% এর বেশি বাড়ল

সরকার ডিজেলের দাম বাড়ানোয় বাসের পর লঞ্চের ভাড়াও বাড়ল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2021, 01:43 PM
Updated : 7 Nov 2021, 03:15 PM

নৌপথে লঞ্চে ভ্রমণে ১০০ কিলোমিটার মধ্যে দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২ টাকা ৩০ পয়সা হয়েছে।

১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া আগে ছিল ১ টাকা ৪০ পয়সা। তা এখন হয়েছে ২ টাকা।

১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে ভাড়া বাড়ল ৩৫ শতাংশ, আর এর বেশি দূরত্বে ভাড়া বাড়ল ৪২ শতাংশ।

এছাড়া সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ার পর লঞ্চ মালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবি জানিয়ে শনিবার থেকে ধর্মঘট করছিলেন।

এই পরিস্থিতিতে রোববার লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক নতুন ভাড়ার হার সাংবাদিকদের জানান।

ডিজেলের দাম বাড়ায় এদিন বাসের ভাড়াও ২৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয় বিআরটিএতে বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে।

লঞ্চ মালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিআরটিএতে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন বলেছিলেন, “২০১৩ সালের পর আর ভাড়া বাড়েনি।

“আমরা ভাড়া বাড়ানোর একটা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। যখন একটি মিটিং হবে হবে এমন সম্ভাবনা হয়েছে, তখন তেলের দাম বেড়েছে। তেলের মূল্যটা অনেক বেশি বৃদ্ধি হওয়াতে মালিকদের পক্ষে জাহাজ পরিচালনা করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।”

বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক বলেন, “৮ বছর পর আমরা ভাড়া সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে ভাড়া বাড়ানোর জন্য একটি কমিটি কাজ করছিল। এর মধ্যে তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। মালিকরা জরুরিভাবে ভাড়া সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন।

“এই কমিটির একটা হিসাব ছিল সেগুলো নিয়ে আমরা বিবেচনা করেছি। মালিকপক্ষ গত পরশুদিন বসে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েছি, যাতে যাত্রীদের কষ্ট না হয়, সাধারণ মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয়। মালিকরাও যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।”

লঞ্চ মালিকদের নেতা মাহবুব উদ্দিন বলেন, “২০১৩ সালের পরে এই প্রথম আমরা ভাড়া সমন্বয় করতে পারলাম। মালিক ভাইদের বিগত সময়ের দুঃখ-বেদনা, লোকসান বিবেচনা করে, মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এটা করেছি।
“আশা করছি, মালিক ভাইয়েরা, তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ সিদ্ধান্তে গতকাল বিকেল থেকে জাহাজ পরিচালনা বন্ধ রেখেছিলেন; আমি তাদেরকে অনুরোধ করবো এখন থেকে আপনারা এই ভাড়া অনুযায়ী জাহাজ পরিচালনা শুরু করেন। এর সরকারি প্রজ্ঞাপন আপনারা অতিসত্বর বিআইডব্লিউটিএ'র পক্ষ থেকে পেয়ে যাবেন। আশা করি যে অসুবিধাগুলো ছিল সেগুলো দূর হয়ে যাবে।”

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার জ্যেষ্ঠ ভাইস-প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল, বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা এবং লঞ্চ মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।