ঢাকার বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) দপ্তরে রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসাধারণ সম্পাদক রাকেশ ঘোষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনসহ সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।
সরকার ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর পর শুক্রবার সকাল থেকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘট শুরু হয়।
তখন থেকেই নগরপরিবহন ও দূরপাল্লার বাসের পাশাপাশি পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার থেকে লঞ্চও বন্ধ রাখা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে তিন দিন ধরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সবশেষ ২০১৫ সালে নগর পরিবহনে বাসের ভাড়া প্রতি কিলেমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা এবং মিনিবাসের জন্য ১ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। বাসে ৭ টাকা এবং মিনিবাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ নির্ধারণ করা হয়।
ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিআরটিএর চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো পরিবহন মালিক সমিতির প্রস্তাবে বলা হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরসহ সারাদেশের দূরপাল্লার রুটে গত ৮ বছর কোনো ভাড়া বাড়ানো হয়নি। কিন্তু এ সময়ে গাড়ির চেসিস, টায়ার, টিউব, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং সব ধরনের কর ও ফি বেড়েছে। এ কারণে গাড়ির পরিচালন ব্যয় ‘কয়েকগুণ’ বেড়ে গেছে।
এবার বাসের ভাড়া কত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে জানতে চাইলে পরিবহন মালিকদের আরেক বড় সংগঠন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সাধারণ সম্পাদক রাকেশ ঘোষ সেদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, ২০১৯ সালে দূরপাল্লার বাসের ভাড়া বাড়িয়ে ২ টাকা ৭ পয়সা করার আবেদন করেছিলেন তারা।
“এরপর যন্ত্রপাতির দাম, টোলসহ সবকিছুই বেড়েছে। আমাদের প্রস্তাব একটা দেওয়া আছে। নতুন করে কত টাকা ভাড়া বাড়ানো যায় তা বিআরটিএ নির্ধারণ করবে। কস্টিং ঠিক করার একটা কমিটি আছে, তারা মালিকদের সঙ্গে আলাপ করে ঠিক করবে।”