বাস-ট্রাকের পর লঞ্চ চলাচলও বন্ধ হচ্ছে

ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর বাস-ট্রাক ধর্মঘট শুরু হলেও লঞ্চ চলছিল, একদিন পর তাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2021, 10:11 AM
Updated : 6 Nov 2021, 11:28 AM

শুক্রবার সকাল থেকে বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধের পর সড়কের দুর্ভোগ মেনে ঢাকার সদরঘাটে এসে লঞ্চে উঠছিলেন দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীরা।

শনিবার সকাল থেকেও সদরঘাট থেকে ৩০টি লঞ্চ ছেড়ে গিয়েছিল বিভিন্ন গন্তব্যে। কিন্তু বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পন্টুন থেকে লঞ্চগুলো সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়।

বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক মো. হুমায়ূন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল থেকে ৩০টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। আরও ৩৫টি লঞ্চ পন্টুনে ছিল। কিন্তু বিকালে লঞ্চগুলো পন্টুন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে রিয়াদ-৪ লঞ্চের মালিক মামুনুর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভাড়া না বাড়ালে লঞ্চ চালানো সম্ভব নয়। তাই সব মালিক লঞ্চ না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

তবে এটা লঞ্চ মালিক সমিতির ‘সিদ্ধান্ত নয়’ বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে সমিতির নেতাদের বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।  

লঞ্চ ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে শনিবার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে সেই বৈঠক হয়নি বলে জানান মামুন।

গত বৃহস্পতিবার সরকার ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়িয়ে দিলে শুক্রবার থেকে সড়কে ধর্মঘট শুরু করে বাস ও ট্রাক মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো। এতে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

বাসের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে রোববার বিআরটিএ বৈঠক ডেকেছে। সেই বৈঠকের আগ পর্যন্ত ধর্মঘট না তোলার কথা জানিয়েছে বাস মালিকরা।

ট্রাক মালিক ও শ্রমিক নেতারা শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, দাবি না মানলে তারাও ধর্মঘট তুলবে না। 

লঞ্চ মালিক সমিতি ভাড়া শতভাগ বা দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে।

তাদের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমান ভাড়ার উপর ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১.৭০ টাকার স্থলে ৩.৪০ টাকা এবং ১০০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ১.৪০ টাকার স্থলে ২.৮০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।