হারাগাছের তদন্তে কী মিলেছে, প্রতিবেদন চায় হাই কোর্ট

রংপুরের হারাগাছে ‘পুলিশি নির্যাতনে’ তাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন চেয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2021, 10:31 AM
Updated : 3 Nov 2021, 10:31 AM

আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং অপমৃত্যু মামলার অনুলিপিসহ ওই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এই আদেশ দেয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

পরে অমিত দাশ গুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি ১৫ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছে হাই কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতের নজরে এনে মঙ্গলবার স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ চেয়েছিলেন। মৌখিক সেই আরজির প্রেক্ষিতে আদলত রাষ্ট্রপক্ষকে এ ঘটনার বিস্তারিত জানাতে নির্দেশ দেয়।

সে অনুযায়ী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত রংপুরের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার জবাবে রংপুরের কমিশনারের পক্ষে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ একটি প্রতিবেদন পাঠায়, যা বুধবার আদালতে উপস্থাপন করেন এ আইন কর্মকর্তা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তাজুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

রংপুরের হারাগাছ পৌরসভার বানিয়াপাড়ার মৃত শওকত আলীর ছেলে তাজুল ইসলামকে গত সোমবার মাদক সেবনের অভিযোগে আটক করে পুলিশ। সেদিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যুর খবরে থানায় হামলা করে উত্তেজিত জনতা। পরে কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হারাগাছ থানার ওসি শওকত আলী সরকার সে সময় বলেছিলেন, “মাদকবিরোধী অভিযানের সময় নতুন বাজার বছিবানিয়ার তেপতি থেকে মাদকসহ আটক করে তাজুল ইসলামকে হাতকড়া পরানো হয়। এতে ভয়ে সে মলত্যাগ করে ফেলে। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ হাতকড়া খুলে দেয়। এরপর পুলিশ তাজুলকে স্থানীয়দের জিম্মায় দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষণ পর খবর আসে যে তাজুল মারা গেছে।”