সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জনসংযোগ) আজাদ রহমান রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার দুপুরে তাদের তদন্তকারীরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেন। তখনই স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ক্রয় সংক্রান্ত শাখার ছয় কর্মচারীকে সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
তাদের নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “ওই শাখায় যারা ফাইলগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করত, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই ঘটনায়তো শুধু জিডি হয়েছে। তাই কীভাবে মিসিং হতে পারে তা জানতেই মূলত তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি আমরা।”
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭টি নথি হারিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানায় জিডি করেন উপসচিব (প্রকল্প বাস্তবায়ন-১ শাখা, অতিরিক্ত দায়িত্ব ক্রয় ও সংগ্রহ-২) নাদিরা হায়দার। পরদিন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। এরপর রোববার দুপুরে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই শাখায় যায়।
জিডির বরাত দিয়ে শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ক্রয় সংক্রান্ত শাখা-২ এর কম্পিউটার অপারেটর যোশেফ সরদার ও আয়েশা বুধবার কাজ শেষ করে ফাইলটি একটি কেবিনেটে রেখে গিয়েছিলেন। ওই ফাইলের ভেতরে ১৭টি নথি ছিল।
বৃহস্পতিবার অফিসে গিয়ে কেবিনেটে ওই ফাইলটি আর খুঁজে না পাওয়ায় থানায় জিডি করা হয়। রোববার সিআইডি ফরেনসিক বিভাগ ছাড়াও শাহবাগ থানা পুলিশও সেখানে গিয়ে তদন্ত চালায় বলে জানান ওসি।
মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. শাহ আলম শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “রহস্যটা কোথায়, তা খুঁজে বের করতেই কমিটি। এটা খুব স্পর্শকাতর বিষয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উনাদের মতো করে দেখছে। আমরা আমাদের মতো করে কাজ করছি।”