বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সারাদেশে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা এবং সিটি করপোরেশন এলাকার নির্ধারিত কেন্দ্রে এই টিকাদান শুরু হয়।
এই বিশেষ টিকাদান কর্মসূচিরর আওতায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর চীনের সিনোফার্মের তৈরি কোভিড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়।
সে সময় দুই দিনে ৮৩ লাখের বেশি মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল।
রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডেও দেওয়া হচ্ছে করোনাভাইরাসের টিকা। সেজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র করা হয়েছে।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের আমুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় শতাধিক মানুষের কিউ। এই কেন্দ্রে ৪২৫ জনকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল।
ঠুলঠুলিয়া এলাকার সত্তরোর্ধ সাবিত্রী দাসও এসেছেন টিকা নিতে। তিনি বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রথম ডোজ নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এবার দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসেছেন তিনি।
“সবাই বলতেছে টিকা নিলে শরীর ভালো থাকে। করোনা হয় না। হের লাইগা নিয়া নিছি।”
ডিএসসিসির ৭৪ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে করা অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের সামনেও দেখা গেল টিকা নিতে আসা নারী-পুরুষের লাইন।
নন্দীপাড়া বড় বটতলা এলাকার গৃহিনী সালমা আক্তার বলেন, টিকা নেওয়ার জন্য অগাস্টের মাঝামাঝি সময়ে নিবন্ধন করেছিলেন। কিন্তু এসএমএস আসেনি। বিশেষ টিকাদান কার্যক্রমের খবর শুনে কাউন্সিলর কার্যালয়ে এসে প্রথম ডোজ নেন।
“সবাইকে করোনাভাইরাস যেভাবে আক্রান্ত করছে তাতে টিকা নেওয়াটা নিরাপদ মনে হচ্ছে। এ কারণেই টিকা নিয়ে নিচ্ছি। আর টিকা নিয়ে নানা ধরনের কথাবার্তা শুনেছি। কিন্তু এসব ঠিক না, নিয়ে ভালোই আছি।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বুধবার পর্যন্ত সারাদেশে ৫ কোটি ৭৩ লাখের বেশি মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে ৪ কোটি ১২ লাখ ৬৮ হাজারের বেশি মানুষ। দুই ডোজ পাওয়া মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ১৩ লাখ ৩২ হাজারের বেশি।