সিআইডির এলআইসি শাখার একটি দল মঙ্গলবার সাভারের জিরানী এলাকা থেকে আমিনুল ইসলাম নামের ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
বুধবার সিআইডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, প্রায় আট বছর আগে দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জের এক নারীকে বিয়ে করেন রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার আমিনুল ইসলাম। সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে তাদের।
আমিনুল অটোরিকশা চালাতেন, মাঝেমধ্যে পল্লী বিদ্যুতের গাছ কাটার কাজও করতেন। সে কারণে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাকে বাড়ির বাইরে থাকতে হত।
মুক্তা ধর বলেন, পীরগঞ্জ সরকারি হাই স্কুলের সামনে ইলেকট্রনিক্সের দোকানী আনোয়ার পারভেজের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আমিনুলের স্ত্রীর। গত ২ অক্টোবর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে পারভেজ দোকান বন্ধ করে আমিনুলের বাড়িতে যান।
“আমিনুল তার স্ত্রীর সাথে পারভেজকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। পারভেজকে বাঁচাতে আমিনুলের স্ত্রী এগিয়ে গেলে তাকেও সে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে।”
আশপাশের লোকজন দুজনকে প্রথমে পীরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার পারভেজকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যান পারভেজ।
এ ঘটনায় আমিনুল ইসলামকে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন তার মা পারুল বেগম।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুল হত্যার ‘দায় স্বীকার’ করেছেন বলে জানান মুক্তা ধর।