মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অনুমিত হিসাব কমিটির বৈঠকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।
নানা অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে জবাব পেলেও তা যুক্তিযুক্ত হয়নি সংসদীয় কমিটির কাছে।
বৈঠকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীন ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জ জোনের অধীন চলমান প্রকল্পের উপর আলোচনা হয়।
প্রকল্প কেন সময়মতো বাস্তবায়ন হয় না, বার বার কেন সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়, প্রকল্পের আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি কেন, এসবের ব্যাখ্যা চাওয়া হয় কমিটির পক্ষ থেকে।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সড়কের চারটি জোন নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু কাজ শেষ হয়নি। ওই কাজ কবে শেষ হবে, সেটাও তারা জানাতে পারেনি।”
এ সময় কয়েকটি প্রকল্পে ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও কমিটি ব্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বাড়ানোকেও এক ধরনের ‘অনিয়ম’ বলে চিহ্নিত করে।
শহীদ বলেন, “আমাদের কাছে যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে, সেখানে দেখা গেছে প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি সমান। কিন্তু কোনোভাবেই সমান হওয়ার কথা নয়। এক শতাংশ হলেও তো পার্থক্য থাকবে।
“এসব বিষয়ে তারা যুক্তি দিতে পারেনি। আমাদের অনেক প্রশ্নের তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। কোথায় কী অনিয়ম বা সমস্যা হয়, তার বিষয়ে আমরা এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছি।”
সাবেক এই প্রধান হুইপ বলেন, “উনারা শিক্ষিত মানুষ। আমরা বলেছি, আপনারা মেধা কাজে লাগিয়ে তামাশা করতেছেন।”
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে সড়কের ঢাকা জোনের অসমাপ্ত নয়টি প্রকল্পের সময় বৃদ্ধির কারণ ও ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন কমিটির কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে মাওয়া পর্যন্ত এবং পাচ্চর-ভাঙ্গা প্রকল্পে কাজ শেষ না হওয়ার কারণ তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন, এ বি তাজুল ইসলাম, আহসান আদেলুর রহমান, ওয়াসিকা আয়শা খান ও খাদিজাতুল আনোয়ার অংশ নেন।