মানহানির মামলা: খালেদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পেছাল

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি পিছিয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2021, 01:44 PM
Updated : 25 Oct 2021, 02:05 PM

সোমবার তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সময় চাইলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর ৩ নভেম্বর দিন ঠিক করেন।

ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ অগাস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম একটি মানহানির মামলা করেন।

অভিযোগে বলা হয়, খালেদার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এসএসসি পরীক্ষার নম্বরপত্র অনুযায়ী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।

১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় একটি পত্রিকায় খালেদা জিয়ার জীবনী প্রকাশিত হয়। সেখানে জন্মদিন লেখা হয় ১৯৪৫ সালের ১৯ অগাস্ট। আবার তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ১৯৪৪ সালের ৪ অগাস্ট। ২০০১ সালে নেওয়া মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী, তার জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ অগাস্ট।

মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্ম তারিখ পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ অগাস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। অথচ ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালন করে আসছেন।

স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী করে জাতির ‘মানহানী’ করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অন্য মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।

সেই মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী ‘যুদ্ধাপরাধী দল’ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেন।

মামলা হওয়ার পর আদালত এসব অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে তেজগাঁও থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছিল। পরের বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ওই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউর রহমান ‘অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে’ জানিয়ে প্রতিবেদন দেন।

২০১৮ সালের ৩১ জুলাই দুটি মামলাতেই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ খালেদা জিয়াকে জামিন দেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।