অবৈধ সম্পদ: সম্রাট হাসপাতালে, শুনানি ফের পেছাল

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার শুনানি আরও এক দফা পিছিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Oct 2021, 10:57 AM
Updated : 25 Oct 2021, 10:57 AM

সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাকে হাজির করা না হওয়ায় ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানির জন্য আগামী ১০ জানুয়ারি নতুন তারিখ দিয়েছেন।

কারা কর্তৃপক্ষ আদালতকে বলেছে, সম্রাট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর সম্রাটকে হাজির করতে না পারায় দুদকের এ মামলায় তার বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার শুনানি এক দফা পেছায় আদালত।

সেদিন কারাগারে থাকা সম্রাটকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) জারি করেছিল আদালত।

২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

মামলাটি তদন্ত করে এক বছর পর ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের ওই কর্মকর্তা।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জিত অর্থে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন সম্রাট।

মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় তিনি ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন।

অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি করেছেন; এছাড়া সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে তার এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে দুদকের ভাষ্য।

অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোয় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সম্রাট এবং তার সহযোগী আরমানকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই দিনই কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র, গুলি, মাদক, এবং ক্যাঙ্গারুর চামড়া উদ্ধার করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাৎক্ষণিকভাবে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র‌্যাব।

আরও পড়ুন