ডলফিন হত্যার তথ্য দিলে পুরস্কার: মন্ত্রী

বন অধিদপ্তরকে ডলফিন হত্যাকারীদের তথ্য যারা দেবেন, বিনিময়ে তারা পাবেন পুরস্কার।

‘আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস-২০২১’ উপলক্ষে রোববার ঢাকায় এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

‘শুশুক ডলফিন থাকে যদি, ভালো থাকবে দেশের নদী’ প্রতিপাদ্যে বন অধিদপ্তরে আয়োজেন এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, “ডলফিন সংরক্ষণে বর্তমান সরকার সর্বদাই সচেষ্ট। এ কার্যক্রমকে সফল করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু অনেকে ডলফিনের তেল সংগ্রহসহ বিভিন্ন কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে ডলফিন হত্যা করে থাকে। যারা বন অধিদপ্তরকে এসব ডলফিন হত্যাকারীদের তথ্য দেবেন, তাদের পুরস্কার দেওয়া হবে।”

কী পুরস্কার দেওয়া হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু অনুষ্ঠানে বলেননি তিনি।

একের পর এক ডলফিন মরছে হালদায়

হালদায় আরেকটি ডলফিনের মৃত্যু, কারণ অনুসন্ধানের পরামর্শ  

ডলফিন বা শুশুক বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীদের একটি। আগে বাংলাদেশের বিভিন্ন নদীতে ডলফিন দেখা গেলেও এখন এই প্রাণীর বিচরণ সীমিত হয়ে এসেছে।

ডলফিন হত্যায় শাস্তির বিষয়টি তুলে ধরে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনে ডলফিন হত্যার অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা রয়েছে।

ডলফিন সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও অনুষ্ঠানে বলেন শাহাব উদ্দিন।

“সুন্দরবনের ডলফিন সংরক্ষণের জন্য সাতটি ডলফিন কনজারভেশন দল গঠন করা হয়েছে, অন্যান্য এলাকায়ও এধরনের টিম গঠন করা হবে। জেলেসহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ডলফিন সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ যাবৎ সরকার দেশে নয়টি ডলফিন অভয়ারণ্য ঘোষণা করেছে, অন্যান্য এলাকায়ও এটি ঘোষণা করা হবে।”

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রাকিবুল আমীন, সুফল প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মদিনুল আহসান এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ খান এবং বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।