আন্তর্জাতিক ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন ডে’ উপলক্ষে শনিবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পরিবেশ সংরক্ষণের দাবিতে এদিন কক্সবাজার, কুয়াকাটা, তালতলী, মোংলা, ভালুকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবেশকর্মী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে বলে আয়োজকরা জানান।
শাহবাগে নাগরিক সমাবেশ থেকে নদী ও জলাশয় রক্ষায় আট দফা দাবি তুলে ধরেন বাপার যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
দাবিগুলো হল- নদী সংক্রান্ত হাই কোর্টের ২০০৯ সালের এবং সুপ্রিম কোর্টের ২০২০ সালের রায় বাস্তবায়ন, জরুরি ভিত্তিতে বুড়িগঙ্গাসহ দেশের সকল নদীর সীমানা নির্ধারণ, নদীর বেদখল জমি উদ্ধার করা, নদী দূষণ বন্ধ করা, নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে সম্পদ আহরণ বন্ধ করা, নদীর জন্য ধ্বংসাত্মক অবৈজ্ঞানিক খননকাজ বন্ধ করা, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে কার্যকর ও সক্রিয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নদী কমিশন আইনকে পরিবর্তন করে শক্তিশালী ও কার্যকর আইনে পরিণত করা, বাংলাদেশ ও বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।
আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, “আজ শীতের সময় প্রচণ্ড গরম অনুভূত করছি। বর্তমান বিশ্বের জলবায়ুর এমন রহস্যজনক আচরণই হল জলবায়ুর পরিবর্তন।
“বাংলাদেশ বৈশ্বিক জলবায়ু পবির্তনে কিঞ্চিৎ ভূমিকা রাখে, কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আমরা সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে অবস্থান করছি।”
তিনি বলেন, “স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের অর্থনীতিকে যে স্তরে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল, নানা কারণে আমরা সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারছি না। আমাদের রাস্তা, পর্যটন, অর্থনীতি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সব কিছুতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।”
বাপার যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে জাতীয় নদী জোটের আহ্বায়ক শারমীন মুরশিদ এবং শিশুদের মুক্ত বায়ু সেবন সংস্থার সভাপতি সেলিম হোসেন বক্তব্য দেন।