অর্থ পাচার: পুলিশ ছাড়া প্রতিবেদন দেয়নি কেউ

সুইস ব্যাংকসহ অন্যান্য বিদেশি ব্যাংকে বাংলাদেশের কে কত টাকা ‘পাচার করেছে’, সে তথ্য জানতে চেয়ে হাই কোর্ট আট মাস আগে যে নির্দেশ দিয়েছিল, পুলিশ প্রধান ছাড়া আর কোনো বিবাদী সে বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়নি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2021, 12:10 PM
Updated : 24 Oct 2021, 12:10 PM

এমনকি এ সংক্রান্ত রুলের জবাবও দেয়নি সেই বিবাদীরা। কেন তারা আদালতের নির্দেশে প্রতিবেদন বা রুলের জবাব দেয়নি, সে প্রশ্নে রাষ্ট্রপক্ষ স্পষ্ট কোনো জবাব দিতে পারেনি আদালতে।  

পুলিশ প্রধানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, রোববার সেটি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রমানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চে উপস্থান করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ওই প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন। রিটকারী পক্ষে আদালতে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান।

পুলিশ মহাপরিদর্শকের প্রতিবেদন দেখে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চান, এ আদালত বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছিল হলফনামা করে প্রতিবেদন দিতে। কিন্তু পুলিশ প্রধান ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কেনো বিবাদী প্রতিবেদন দেননি কেন?

জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, “এ বিষয়ে আমরা যোগাযোগ করছি। দীর্যদিন করোনা পরিস্থিতির কারণে সবকিছু বন্ধ ছিল। উনাদের (বিবাদীরা) কাজ করতে অসুবিধা হয়েছে। আমাদের যোগাযোগে অসুবিধা হয়েছে। আমরা উনাদের সাথে যোগাযোগ করে দেব।”

সেজন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারল এক মাসের সময় চাইলে আদলত আগামী ২১ নভেম্বর তারিখ রেখে ওই সময়ের মধ্যে হলফনামা করে প্রতিবেদন দিতে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে মধ্যে রুলের জবাব দিতে বিবাদীদের নির্দেশ দেয়।

বিদেশি ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার করা ‘বিপুল পরিমাণ’ অর্থ উদ্ধারের যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।

সুইস ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশি নাগরিকদের টাকা নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি করেছিলেন এ দুই আইনজীবী।

সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেয়। সুইস ব্যাংকসহ অন্যান্য বিদেশি ব্যাংকে বাংলাদেশের কে কত টাকা পাচার করেছে, সে তথ্য জানতে চায় হাই কোর্ট।

অর্থ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব,স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের রেজিস্ট্রার ও পুলিশ প্রধানকে হলফনামা করে সে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

সেই সাথে বিদেশি ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের নাগরিক অথবা কোম্পানি বা অন্য কোনো সত্ত্বার গোপনে গচ্ছিত টাকা উদ্ধারে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- জানতে চাওয়া হয় রুলে।

এছাড়া পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে বাংলাদেশি যেসব নাগরিক ও কোম্পানির নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং সে তদন্তের অগ্রগতি প্রতি মাসে আদালতকে জানাতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়। 

বাংলাদেশি কোনো নাগরিক অথবা কোম্পানি বা অন্য কোনো সত্ত্বার অর্থপাচার, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের বিষয় নীরিক্ষণ, পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তার জবাবও চাওয়া হয় রুলে।

অর্থ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিবকে চার সপ্তহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

সেদিন আদালত ৩০ মার্চ পরবর্তী আদেশের তারিখ রাখে হাই কোর্ট। এ আদেশের পর প্রায় আট মাস পার হয়ে গেলেও কোনো বিবাদী রুলের জবাব দেয়নি। আর পুলিশ মহাপরিদর্শক ছাড়া আর কোনো বিবাদী প্রতিবেদন দেয়নি আদালতকে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তলুকদার রাষ্ট্রপক্ষকে বলেন, “ভেরি সেনসেটিভ ইস্যু। ভেরি ভেরি সেনসেটিভ ইস্যু। এটি নরমাল কেইসের মত না। দেশের অনেক টাকা এই দেশের মানুষেরা বিদেশে পাচার করেছে। আমরা দেখতে চাই, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে। তদের (বিবাদী) দায়িত্ব তা জানানো।

“ফলে বিবাদীরা বাধ্য আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে এবং পাচার করা টাকা উদ্ধারে তাদের পদক্ষেপ জানিয়ে হলফনামা করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া। কারা সেই ব্যক্তি, কোন সে প্রতিষ্ঠান, কোন সে সত্ত্বা- তা আমাদের জানতে হবে। পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে কাদের নামে এসেছে, অন্ততপক্ষে সে নামগুলো আমাদের জানতে হবে। এগুলো আমরা দেখতে চাই। এটি কোনো সহজ-সরল বিষয় না।”

আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন,  পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে ভারতের যাদের নাম এসেছে তাদের সম্পর্কে অনুসন্ধান চলছে। তারা বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কিন্তু এ আদালত দীর্ঘ সময় আগে আদেশ দিলেও বিবাদীরা তাতে কর্ণপাত করেননি।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেন, “কোনো উদ্যেগই দেখছি না বিবাদীদের। আমরা কিন্তু রুল শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করব। শুনানি করতেও আমাদের অন্তত এক মাস সময় লাগবে। ভারতে এ বিষয়ে রায় হয়ে গেছে। অন্য দেশে রায় হয়ে গেছে। সেই অলোকেই আমরা রায় দিতে চাই। এই সমস্ত বিষয়ে অনেকের আগ্রহ নাও থাকতে পারে। এই বিষয়টা তো বোঝানো অনেক কঠিন। এটি সহজ বিষয় না, জটিল বিষয়।

পরে বিচারক বলেন, “আমরা আরেকবার সময় দিই, তারা প্রতিবেদন দিক। আমরা বিষয়টা ধরব, শুনানি করতে হবে। ২৮ ফেব্রুয়রি রুল দিয়েছি, এতদিন হয়ে গেল। রুলের জবাবটাই যদি আপনারা না দেন তাহলে আর কী বলব! কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা কোনো কথা হল?

“বিষয়গুলো নিয়ে তো আমাদের ভাবতে হবে, ভাবতে শিখতে হবে। শুধু আসলাম-গেলাম, তা তো না। দেশ ও জাতির জন্য তো কিছু করা দরকার। কিছু করতে হবে। আপনার ভবিষ্যতের জন্য আপনাকেই করতে হবে। খালি সরকার করবে তা তো না, সরকারকে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে।”  

পুলিশ প্রধানের  প্রতিবেদনে যা আছে

ঢাকা ও চট্টগ্রামে তদন্তাধীন সাত মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজার ৭৪৮ টাকা পাচারের তথ্য হাই কোর্টকে দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এসব ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর এ কে এম মোমিনুল হক ওরফে সাঈদের নাম।

এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও দুবাইয়ে টাকা পাচার করেছেন বলে সিআইডির প্রতিবেদনে তথ্য দেওয়া হয়েছে। 

তালিকায় থাকা বাকিরা হলেন, ফরিদুপরের বোয়ালমারীর রাজীব হোসেন রানা, নেত্রকোনার বারহাট্টার জামাল, কুমিল্লার দাউদকান্দির শরিফুল ইসলাম ও আউলাদ হোসেন, ফেনীর ছাগলনাইয়ার এনামুল হক, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের মো. শাহজাহান বাবলু, চট্টগ্রামের খুলশীর নাজমুল আবেদীন, সোহেল আবেদীন, পাহারতলী এলাকার এ কে এম জাহিদ হোসেনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজন।

এছাড়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রামের ‘এ অ্যান্ড বি আউটারওয়্যার অ্যান্ড নর্ম আউটফিট অ্যান্ড একসেসরিজ লিমিটেডের নাম রয়েছে।

সিআইডির এ প্রতিবেদনটিই পুলিশের মহাপরিদর্শক রাষ্ট্রপক্ষের মাধ্যমে আদালতে জমা দেন; যেটি রোববার উসথাপন করা হয়। 

এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া সিঙ্গাপুরে, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় তিন ধাপে মোট ৮ কোটি ৮৩ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯৮ টাকা ‘পাচার’ করেছেন।

ফরিদপুরের রাজীব হোসেন রানা ও নেত্রকোণার বারহাট্টার জামাল সিঙ্গাপুরে ৮১ লাখ টাকা, কুমিল্লার দাউদকান্দির শরিফুল ইসলাম ও আউলাদ হোসেন ৮৩ লাখ টাকা, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও এনামুল হক ২৩ কোটি ২৩ লাখ ৭৫৩ হাজার ৬৯১ টাকা,  এ কে এম মোমিনুল হক ওরফে সাঈদ ২ কোটি ২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৩৫৯ টাকা পাচার করেছেন বলে সিআইডির ভাষ্য।

এছাড়া কুমিল্লার মো. শাহজাহান বাবলু ২১ লাখ এবং চট্টগ্রামের নাজমুল আবেদীন, সোহেল আবেদীন, এ কে এম জাহিদ হোসেন ও অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনসহ এ অ্যান্ড বি আউটারওয়্যার অ্যান্ড নর্ম আউটফিট অ্যান্ড একসেসরিজ লিমিটেড ৪০ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার টাকা পাচার করেছেন বলে তথ্য দিয়েছে সিআইডি।

সেই সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১০১ মিলিয়ন ডলার পাচারের তথ্য প্রতিবেদনে দিয়েছি সিআইডি।

এর মধ্যে ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কা থেকে ৩৪ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্ধারের কথাও সেখানে বলা হয়েছে। 

গত বছর ১৮ নভেম্বর ডিআরইউর মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ থেকে কানাডায় টাকা পাচারের সত্যতা পাওয়ার কথা বলেন।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, প্রাথমিকভাবে অর্থপাচারে জড়িত যাদের তথ্য পাওয়া গেছে, তার মধ্যে ‘সরকারি কর্মচারীই বেশি’। এছাড়া রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীও রয়েছেন। তবে সেদিন কারও নাম তিনি প্রকাশ করেননি।

সে বক্তব্যের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাঙালি অধ্যুষিত কানাডার কথিত ‘বেগম পাড়ার’ প্রসঙ্গ উঠে আসে।

সেসব প্রতিবেদন নজরে আসার পর গত বছর ২২ নভেম্বর হাই কোর্ট ‘অর্থপাচারকারী দুর্বৃত্তদের নাম-ঠিকানা চাওয়ার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা, তা জানতে চায়।

স্বরাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়।

এছাড়া প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করে অর্থপাচারকারী সরকারি কর্মচারী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, ব্যাংক কর্মকর্তা ও অন্যদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।

নির্দেশ অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

এসব প্রতিবেদনের উপর শুনানির পর আদালত আবার অর্থ পাচারকারীদের নাম ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখ রাখে।

এর মধ্যেই বিদেশি ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার করা ‘বিপুল পরিমাণ’ অর্থ উদ্ধারের যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে এ রিট আবেদনটি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।