শিশু-কিশোরদের সংগঠনটির পক্ষ থেকে শুক্রবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত পদযাত্রা হয়।
মানববন্ধনে খেলাঘরের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, মসজিদের আজান আর মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনিতে এ দেশের শিশুদের ঘুম ভাঙে এটাই আমাদের কৃষ্টি; এভাবেই এ দেশের শিশুরা বেড়ে উঠে একই আলো-বাতাসে।
“কিন্তু সাম্প্রতিককালে আমরা দেখতে পাচ্ছি, দেশের মৌলবাদী গোষ্ঠী ও কিছু স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক মহল তাদের হীনস্বার্থ হাসিলের জন্য ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আমাদের সম্প্রীতি এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার উপর বারবার আঘাত হানছে। এর মাধ্যমে আমাদের শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তাদের সচেতন করতে আমাদের এই পদযাত্রা।”
খেলাঘর সম্পাদমণ্ডলীর সদস্য মাহবুবুর রহমান শিপন বলেন, “যে মৌলবাদী গোষ্ঠি ও স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক মহল তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ অন্যান্য ধর্মালম্বীদের সংবিধান প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতা বিনষ্ট করার প্রক্রিয়ায় লিপ্ত হয়েছে, তাদের কঠোর হস্তে দমন করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।"
“অন্যদিকে শ্রদ্ধাবোধের জায়গায় অন্য ধর্মের প্রতি সৃষ্টি হচ্ছে বিদ্বেষ। ধর্মীয় বিভাজন টেনে এভাবেই সম্প্রীতির বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হিসেবে চিহ্নিত করার কূট-কৌশলে মেতেছে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী।”
খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক রুনু আলী বলেন, “খেলাঘর বিশ্বাস করে আজকের শিশুরাই আগামী বাংলাদেশ নির্মাণের মূল শক্তি। আজকের শিশুদের হাত ধরেই নির্মিত হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, শহীদের স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
“বিজ্ঞানমনস্ক জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে তুলে ধরবে বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা। সেই লক্ষ্যে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টিকারী, রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তে যুক্ত এসব ধর্মহীন জঙ্গিবাদী গোষ্ঠিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে খেলাঘর। তবেই গড়ে উঠবে শিশুর বাসযোগ্য ভয়ভীতিহীন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।”