বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে পাঠিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রক্রিয়াটি চালুর পর অনেক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ হ্যান্ডসেট হল ফিচার ফোন। বেশিরভাগ সাধারণ গ্রাহক জানেন না কীভাবে হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর যাচাই করতে হবে।
“আমরা মোবাইল নিবন্ধন করার জন্য ডেটাবেইজ করেছি, ফোন বন্ধ করার জন্য এই ডাটাবেইজ করা হয়নি। জনগণের যাতে ভোগান্তি না হয় সে জন্য নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকা কোনো মোবাইল যাতে বন্ধ না হয়, বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিটিআরসি জানিয়েছিল, ১ জুলাই ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে নেটওয়ার্কে নতুনভাবে যুক্ত সব অবৈধ হ্যান্ডসেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
কোনো বিক্রেতা অবৈধ হ্যান্ডসেট বিক্রি করলে ক্রেতার দাবি অনুযায়ী হ্যান্ডসেটের দাম ফেরত দিতে হবে। পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করে দেওয়া হয়।
মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে তা আসল কি না, তা যাচাই করে নিতে বলা হয় ক্রেতাদের। সেজন্য মেসেজ অপশন থেকে KYD এবং ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে (যেমন KYD 123456789012345) ১৬০০২ নম্বরে পাঠাতে বলা হয়।
এছাড়া, বৈধভাবে বিদেশ থেকে ব্যক্তিগতভাবে আনা হ্যান্ডসেট ব্যবহারের আগে www.neir.btrc.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করিয়ে নিতে বলা হয়।
অবৈধ পথে দেশে আসা হ্যান্ডসেটের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “এনইআইআরের মাধ্যমে মোবাইলের ডাটাবেইজ করা হয়েছে। কোন মোবাইল বৈধ পথে আর কোনগুলো অবৈধপথে দেশে আসছে তা দেখবে এনবিআর। আমরা দেখছি নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার পরে মোবাইল বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর পর অনেক মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন।”
এনইআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডেটাবেইজ ব্যবহার করে রাজস্ব ফাঁকি রোধ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চাইলে বৈধ-অবৈধ ফোন সম্পর্কে বিটিআরসি তথ্য দিতে পারবে বলে জানান টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
পুরনো খবর: