হাসপাতালের পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা খন্দকার তৌফিক জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের ষষ্ঠ তলায় ওই বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে ক্যাথল্যাব, আইসিইউ ইউনিট ও অপারেশন থিয়েটার পাশাপাশি। বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে গেলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে তা নিয়ন্ত্রণ করেন।
মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আহমদুল কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় ওই ইউনিটে কোনো রোগী ছিলেন না। যারা আহত হয়েছেন, তারা সবাই হাসপাতালের কর্মী।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। বেলা ১২টা ৫৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান।
অগ্নিকাণ্ডের পর মুগদা হাসপাতালের নয় কর্মীকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। তাদের আটজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এবং একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান।
মুগদা মেডিকেলের অধ্যক্ষ আহমদুল কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছয় তলার ওই আইসিইউ ইউনিটে আগে কোভিড রোগীদের রাখা হত। এখন সংক্রমণ কমে আসায় সেটা অন্য রোগীদের রাখার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল।
“ঘটনার সময় কোনো রোগী সেখানে ছিল না। হাসপাতালের কর্মীরাই পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন। আজ কাজ হচ্ছিল ক্যাথল্যাবে।”
দগ্ধদের মধ্যে স্টাফ নার্স রুমি খাতুন ও মেরী আক্তার বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সিনিয়র নার্স মনিকা পেরেরা ও শাহীনা আক্তারকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
মেরী আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কোভিড ইউনিটকে জেনারেল ইউনিটে রূপান্তর করার জন্য সেখানে সংস্কার কাজ চলছিল। ঘটনার সময় তিনি ছিলেন আইসিইউ অংশ। হঠাৎ বিস্ফোরণ আর চিৎকার শুনে দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে আগুনে তার হাত পুড়ে যায়। তার ধারণা, ক্যাথল্যাবের এসি বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
একই ধরনের কথা বলেছেন আহত স্টাফ নার্স রুমি খাতুন। তবে ফায়ার সার্ভিস বলেছে, তদন্ত করার পরই তারা অগ্নিকাণ্ডের কারণ বলতে পারবে।
বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি বাকি চারজন এবং ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ভর্তি একজনও মুগদা হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী।