এতে মানবাধিকার কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার (এনজি) কর্মীরা যুক্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকালে ধানমণ্ডিতে সুলতানা কামালের বাড়ি ‘সাঁঝের মায়ায়’ এ বিষয়ে একটি সভায় অংশ নেন ২৫ থেকে ৩০ জন ব্যক্তি। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ সভা চলে।
সভা শেষে সুলতানা কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে যখন জ্বালাও পোড়াও চলছিল তখন ‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম করেছিল নাগরিক সমাজ। সেই প্ল্যাটফরমটিকে নিয়েই এখন সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
“খুব শিগগিরই তাদের একটি দল যেসব জায়গায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যায়তন হয়েছে সেখানে যাবেন। তারা প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করবেন।“
সভায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন নারী নেত্রী রোকেয়া কবীর, বেসরকারি সংস্থা নিজেরা করি এর সমন্বয়ক খুশী কবীর, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু।
অনলাইনে যুক্ত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারোয়ার আলী, এলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, উদীচির সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ সেলিম, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ, প্রজন্ম ৭১ এর আসিফ মনির, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সালেহ আহমেদ, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন প্রমুখ।
এই ‘নাগরিক জোট’ গঠনের বিষয়ে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল বলেন, যাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে তাদের মানসিক এই অবস্থায় বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মুখ্য উদ্দেশ্য।
“তাদের এই বোধটা দেওয়া যে, ক্ষতিটা শুধু তাদেরই হয়নি। আমরা সবাই, পুরো বাংলাদেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা এতখানি ভাবছি না যে তাদের ক্ষত আমরা প্রশমন করতে পারব। তাদের আস্থা সেভাবে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারব। তবে তারা যে এদেশের নাগরিক, যে কোনো জনগোষ্ঠীর মতো তাদেরও সমান অধিকার আছে- আমরা যে এটা বিশ্বাস করি সেই বার্তাটা তাদের কাছে পৌঁছানা হবে।“
তিনি জানান, জেলাগুলোতে ক্ষতিগ্রস্তদের কথা শুনে যদি জবাবদিহিতার কোনো বিষয় আসে- তবে তারা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গেও কথা বলবেন।