অবৈধ সম্পদ: স্বাস্থ্যের সাবেক প্রকৌশলীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ছয় কোটি ১৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নজরুল ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2021, 03:45 PM
Updated : 19 Oct 2021, 05:25 PM

মঙ্গলবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দুদকের উপপরিচালক আশীষ কুমার কুণ্ডু বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানিয়েছেন।

অপর আসামিরা হলেন- নজরুল ইসলামের স্ত্রী সৈয়দা তামান্না শাহেরীন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগী তামান্নার বড় ভাই সৈয়দ হাসান শিবলী।

এজাহারে বলা হয়, দুদকের অনুসন্ধানে আসামি নজরুল ইসলামের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হিসাবে আট কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৯৩৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।

“এর মধ্যে দুই কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৯৩৭ টাকা তার বেতনভাতা, চাকরি জীবনের সঞ্চয়, পূর্বের আয় ও ব্যাংক সুদ হিসাবে প্রাপ্ত গণ্য করা হলেও ছয় কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ মর্মে প্রমাণ পায় দুদক।”

মামলায় আরও বলা হয়, ইস্টার্ন ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখায় নজরুল ইসলাম ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারি একই বছরের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে ১৪টি এফডিআর হিসাবে মোট আট কোটি টাকা নগদ জমা করেছেন। এছাড়াও তার নামে যমুনা ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার ব্যাংক হিসাবে আট লাখ ৭৪ হাজার ৫৩৭ টাকা জমার তথ্য পাওয়া যায়।

ব্যাংকে আট কোটি টাকা নগদ জমা হওয়ার বিষয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য বক্তব্য, ব্যাখ্যা, তথ্য-প্রমাণ এবং রেকর্ডপত্র নজরুল ইসলাম উপস্থাপন করতে পারেননি বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, “একজন সরকারি কর্মচারির নামে ব্যাংক হিসাবে আট কোটি টাকা নগদ জমা হওয়ার বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা না থাকায় এ অর্থ ঘুষ ও দুর্নীতিলব্ধ এবং এর অবৈধ উৎস গোপন করার লক্ষ্যে নগদে এফডিআর করে মানিলন্ডারিং করা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।”

এসব বিষয় যাচাই-বাছাই করে নজরুল ইসলামের নামে ছয় কোটি ১৭ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে বলে মামলায় উল্লেখ করে বলা হয়, এসব অর্থ গোপন করে পরবর্তিতে ব্যাংকে জমা করতে তামান্না শাহেরীন ও হাসান শিবলী সহযোগিতা করেছেন।