বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তখনকার রাষ্ট্রপতির ছেলে রাসেলের ‘অন্যদের মত’ সাধারণ চলাফেরার স্মৃতি সোমবার এক অনুষ্ঠানে তিনি তুলে ধরেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি শেখ রাসেলের সাথে একই স্কুলে পড়ার সুযোগ পেয়েছি, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে, তিনি আমার চেয়ে কয়েক বছরের জুনিয়র ছিলেন।
”ক্ষুদে শিক্ষার্থী হিসাবে তিনি ছিলেন সজীব, মেধাবী ও প্রাণবন্ত। বিরতির সময়ে বন্ধুদের সাথে এমনভাবে ঘুরে বেড়াতেন, কেউ বলতে পারত না তিনি রাষ্ট্রপ্রধানের ছেলে। এটাই সাধারণভাবে থাকতেন, ছিল না কোনো অতিরিক্ত নিরাপত্তা বা প্রটোকল।”
তার জন্ম ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর। এবারই প্রথম তার জন্মদিন সরকারিভাবে শেখ রাসেল দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ।
তিনি বলেন, “একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হিসাবে আমি যেভাবে গর্ববোধ করি, সেভাবে এটা আমাকে গভীরভাবে মর্মাহতও করে।”
”আমরা চাই, কোনো নিরপরাধ লোক কখনো মারা না যায়, কোনো শিশুর জীবন যেন এভাবে না যায়। একেতো জীবন চলে যাওয়া, তার সাথে জীবনের আনন্দ, আহ্লাদ উপভোগের সুযোগ শেষ হওয়া।”
অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর নজরুল ইসলাম খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।