তারা হলেন করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করানো দম্পতি মো. জাকারিয়া ও তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার।
সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে তারা জবানবন্দি প্রদান করেন।
এ নিয়ে মামলার অভিযোগপত্রের অন্তর্ভুক্ত মোট ৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জন আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামি ১০ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষীর তারিখ ঠিক করেছে আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এসব তথ্য জানান।
আসামি পক্ষে আইনজীবী মোঃ ফারুক আহমেদ ও কনক কান্তি ভৌমিক সাক্ষীদের জেরা করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান সাক্ষীদেরকে আদালতে সহায়তা দেন।
সোমবার দুপুর আড়াইটার পর আদালতে সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়। বিকাল ৪টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ ও জেরার কার্যক্রম চলে আদালতে।
এদিন কাশিমপুর কারাগার থেকে ডা. সাবরিনাসহ তিন নারী আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
এছাড়া কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আরিফুল হক চৌধুরীসহ ছয় আসামিকে আদালতে আনা হয়।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর একই মহানগর হাকিম আদালতে একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় ডা. সাবরিনা ও তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ার। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে পরে ধরা পড়ে।
এ অভিযোগে গত বছর ২২ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। গত ৫ অগাস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। এর ভিত্তিতে ২০ অগাস্ট সাবরিনাসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।
অভিযোগপত্রভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, জেকেজি হেলথকেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। তারা সবাই কারাগারে আছেন।