তারা হলেন, হোছেন ওরফে খোকন (৩৩) ও মোহাম্মদ রফিক (৩২)। এদের মধ্যে খোকন টেকনাফের ‘আইস সিন্ডিকেটের হোতা’ বলে র্যাবের দাবি।
সাম্প্রতিক সময়ে এই মাদক উদ্ধার বাড়লেও এটিই সবচেয়ে বড় চালান।
শুক্রবার রাতে যাত্রাবাড়ী থেকে খোকন-রফিককে গ্রেপ্তারের পর শনিবার ঢাকার কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাদের কাছে পাঁচ কেজি আইস, বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া আইসের আনুমানিক বাজার মূল্য ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
আইস বা ক্রিস্টাল মেথে শতভাগ এমফিটামিন থাকায় এটা বিশ্বজুড়েই ভয়ঙ্কর মাদক হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশে কয়েক বছর ধরে এই মাদক ধরা পড়ছে।
আল মঈন বলেন, কক্সবাজারের টেকনাফকেন্দ্রিক কয়েকটি মাদকচক্র বেশ কিছুদিন ধরে পাশ্ববর্তী দেশ (মিয়ানমার) থেকে আইস বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। র্যাব তার উপর নজরদারি চালিয়ে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করল।
“তারা টেকনাফকেন্দ্রিক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য। এই চক্রটি কয়েক বছর ধরে অবৈধ মাদক ইয়াবার কারবার করে আসছিল। কয়েক মাস ধরে আইস পাচার করছে। এ সিন্ডিকেটে ২০ থেকে ২৫ জন যুক্ত রয়েছে।”
সাধারণ নৌপথ ব্যবহার করে মাদকের চালান আনা হয় বলে র্যাব জানিয়েছে। ঢাকার উত্তরা, বনানী, গুলশান, ধানমণ্ডি ও মোহাম্মদপুরসহ কয়েকটি এলাকায় তাদের ‘সিন্ডিকেট’র তৎপরতা রয়েছে।
খোকনের নামে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
রফিক টেকনাফে অটোরিকশা চালকের ছদ্মবেশে মাদক পরিবহন এবং স্থানান্তর করতেন বলে র্যাব জানায়।