হেফাজত ‘নজর’ রাখছে, কর্মসূচি নেই

কুমিল্লায় পুজামণ্ডপে কুরআন ‘অবমাননাকারীদের’ শাস্তির দাবি জানিয়ে যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি হেফাজতে ইসলাম পাঠিয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে যে শুক্রবার তাদের কোনো কর্মসূচি নেই।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2021, 07:04 PM
Updated : 14 Oct 2021, 07:04 PM

হেফাজতে নেতারা পরিস্থিতির উপর ‘গভীর’ নজর রাখছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক থাকতে জনগণকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

কুমিল্লার একটি মন্দিরে কুরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে বুধবার কয়েকটি মন্দিরে হামলা, ভাংচুর চালানো হয়।

এই ঘটনার রেশে বিভিন্ন জেলায় কয়েকটি মন্দিরে হামলা হয়। তা ঠেকাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও বাঁধে, যাতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে চারজন নিহত হয়।

এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার খিলগাঁও অবস্থিত হেফাজত মহাসচিবের কার্যালয়ে হেফাজতের ‘খাস কমিটি’ বৈঠকে বসে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, “হেফাজতে ইসলামের নেতারা কুমিল্লার ঘটনার  প্রতি গভীরভাবে নজর রাখছে। এদেশের ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা কোনোভাবেই পবিত্র কুরআন অবমাননা সহ্য করবে না, করতে পারে না।"

আন্দোলনকে পুঁজি করে অতীতের মতো কেউ যেন স্বার্থ উদ্ধার করতে না পারে, সে বিষয়ে ‘সদা সতর্কতা অবলম্বন’ করতে বলেছেন হেফাজত নেতারা।

কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক এই সংগঠনটি তার নেতা-কর্মী ও কওমী মাদরাসার আলেম-উলামা ও শিক্ষার্থীদের ‘কারও উস্কানিতে কোনোরকম সিদ্ধান্ত’ না নিতে বলেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “শুক্রবার আপাতত হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মসূচি নেই। প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”

চাঁদপুরের ঘটনায় কারও উস্কানি ছিল কি না, কীভাবে তিনজনের মৃত্যু হল, তার তদন্তের দাবি জানিয়েছে হেফাজত।

আল্লামা আতাউল্লাহ সভাপতিত্বে বৈঠকে মহাসচিবনুরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মুহিব্বুল হক, আবদুল আওয়াল, মহিউদ্দিন রাব্বানী, আবদুল কাইয়ুম সুবহানী, জহুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

কুমিল্লার ঘটনায় হেফাজত ছাড়াও আহলে সুন্নাত ও বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন পৃথক বিবৃতি দিয়েছে।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআতের বিবৃতিতে বলা হয়,. “দেশে বিদ্যমান ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার ঘটনাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে।”

এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রকৃত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

তরীকত ফেডারেশনের বিবৃতিতে বলা হয়, “এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মন্দির ভাংচুর জ্বালাও পোড়াও ইত্যাদিও ইসলাম সমর্থন করে না। এ ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত, সে যেই হোক না কেন তাকে গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।”