শরৎ শেষের এই সময়ে রোদের তেজ যেমন থাকে, বাতাসেও আর্দ্রতা থাকে তুলনামুলক বেশি। ফলে গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিরাজ করছে ভ্যাপসা গরম। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হলেও গুমোট ভাব কাটেনি।
বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ ও সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশের অধিকাংশ এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। আগের দিন সিলেটে থার্মোমিটারের পারদ উঠেছিল ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। মঙ্গলবার বলার মত বৃষ্টিপাত ছিল শুধু কুতুবদিয়ায়, সেখানে ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন বলেন, “দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের বাকি এলাকায় থেকে বিদায়ের অবস্থায় রয়েছে। মৌসুমি বায়ু দেশের উপর কম সক্রিয়, উত্তর বঙ্গোপসাগরেও দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যে একটা লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এমন আবহাওয়ায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।”
তিনি বলেন, লঘুচাপ সৃষ্টি হলে দুয়েক দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। তাতে ভ্যাপসা গরমে কেটে যাবে।
পঞ্জিকার পাতায় এখন আশ্বিনের ২৮ তারিখ; হেমন্ত সমাগত প্রায়। দিনভর গরম থাকলেও শেষ রাতে তাপমাত্রা কমে আসছে। কোথাও কোথাও ভোরের দিকে বাতাসে বিরাজ থাকছে হিম হিম ভাব।
আরিফ হোসেন বলেন, দুই দিনের মধ্যে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিদায় নেবে। লঘুচাপের বৃষ্টি শেষে চলে আসবে শীতালু আবহাওয়া।
বুধবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্হায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি অক্টোবর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ মাসে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে।
গেল মাসে তিনটি লঘুচাপ (৬, ১০ ও ২১ সেপ্টেম্বর) সৃষ্টি হয় বঙ্গোপসাগরে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’ এর রূপ নিয়ে ভারতের অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে। বাংলাদেশে সেই ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।