কয়েকশ কোটি টাকা আত্মসাৎ: রিং আইডির পরিচালক সাইফুল রিমান্ডে

প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে শত শত কোটি টাকা সংগ্রহ করে আত্মসাতের অভিযোগের মুখে থাকা তথাকথিত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম রিং আইডির পরিচালক সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2021, 11:47 AM
Updated : 2 Oct 2021, 05:28 PM

রাজধানীর ভাটারা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা শনিবার আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের হেফাজতে নিতে আবেদন করেন।

আসামির পক্ষে তার আইনজীবী তুহিন হাওলাদারসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী তাকে দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন বলে ভাটারা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই রনপ কুমার ভক্ত জানান।

বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের মতো অস্বাভাবিক ডিসকাউন্টে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ও ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ আমানত নিয়ে প্রতারণাও ও অর্থ জালিয়াতির অভিযোগে রিং আইডির পরিচালক সাইফুল ইসলামকে (৪১) শুক্রবার রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।

রিং আইডিতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত একজন ভুক্তভোগী ৩০ সেপ্টেম্বর ভাটারা থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কন্ট্রোল অ্যাক্টে মামলা করেন বলে সিআইডির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আসামিরা হলেন- শরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, ইরিন ইসলাম, সালাহউদ্দিন, আহসান হাবিব, রফিকুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, আব্দুস সামাদ, রেদোয়ান রহমান ও রাহুল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাইবার পুলিশ সেন্টারের তথ্য মতে, শুধু বিজ্ঞাপন দেখার বিনিময়ে উপার্জনের প্রলোভন দিয়ে জনগণের কাছে থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। কেবলমাত্র কমিউনিটি জবস নামে একটি খাত থেকেই গত মে মাসে ২৩ কোটি ৯৪ লাখ, জুন মাসে ১০৯ কোটি ১৩ লাখ এবং জুলাই মাসে ৭৯কোটি ৩৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে সংগ্রহ করেছে রিং আইডি।

“আইনি প্রক্রিয়া চলাকালে যেন জনগনের কাছ থেকে নেওয়া আমানত অবৈধভাবে দেশের বাইরে পাচার করতে না পারে সে কারণে ইতোমধ্যেই তাদের সকল ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।”

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল এ বিপুল পরিমাণ আমানত গ্রহণের কোনো অনুমোদন তিনি বা তার প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করেনি বলে জানান। তাদের এ কার্যক্রমের সাথে কারা কীভাবে জড়িত আছে এবং এ বিপুল পরিমাণ অর্থ তারা কোথায়, কীভাবে সংরক্ষণ করছে সেবিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সিআইডির অনুরোধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ইতোমধ্যেই রিং আইডির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে এবং সাইবার পুলিশ সেন্টারে মানিলন্ডারিং বিষয়েও অনুসন্ধান চলমান আছে বলে তিনি জানান।