বরকত-রুবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছে আদালত

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানার মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা বরকত ও তার ভাই রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2021, 08:49 AM
Updated : 30 Sept 2021, 08:49 AM

বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস পাল।

তিনি জানান, এই মামলায় পলাতক ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা গেল কি না তা জানতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৩ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে আদালত।

এরা হলেন- খন্দোকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত এবং তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

এছাড়া অভিযোগপত্রে নাম থাকা আসামি ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও আসিকুর রহমান ফারহানকেও গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়।

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় গত বছর ৭ জুন রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে শহরের বদরপুরে আফসানা মঞ্জিলসহ বিভিন্ন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে বরকত ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত বছর ১৬ মে রাতে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লাবাড়ী সড়কে সুবল সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলা হয়। এ ঘটনায় সেবছর ১৮ মে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় তিনি মামলা করেন।

গত বছর ২৬ জুন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে অর্থপাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

গত ৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ওই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন বরকত ও রুবেল।

এছাড়া তারা মাদক কারবার ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এসি ও নন-এসিসহ ২৩টি বাস, ড্রাম ট্রাক, বোল্ডার ও পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন। সেই সঙ্গে তারা দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, প্রথম জীবনে দুই ভাই রাজবাড়ীর এক বিএনপি নেতার সঙ্গী ছিলেন। তখন তাদের সম্পদ বলতে ‘কিছুই ছিল না’। ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর ওই এলাকায় এক আইনজীবী হত্যার মামলায়ও আসামি বরকত ও রুবেল।

আরও পড়ুন