মঙ্গলবার এরিয়াল ডিসপ্লে, ফ্লাইপাস্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আতশবাজি পুড়িয়ে দিনটি উদযাপন করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।
মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল দিনে সূচনা হয়েছিল বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর। এ দিনটিকে পালন করা হয় ‘বিমান বাহিনী দিবস’ হিসেবে।
১৯৭১ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বিমান বাহিনীর সহায়তায় একটি অটার ও একটি ডাকোটা উড়োজাহাজ, একটি অ্যালুয়েট হেলিকপ্টার এবং ৫৭ জন বাঙালি বৈমানিক, কারিগরি পেশার বিমান সেনা ও বেসামরিক বৈমানিককে নিয়ে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে ‘কিলো ফ্লাইট’ নামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়।
৪ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে তেল ডিপোতে আক্রমণে চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হবে পাকিস্তানি বাহিনীর জ্বালানি সরবরাহ লাইন। এরপর ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০টি সফল অভিযানে অংশ নেন মুক্তিবাহিনীর বৈমানিকরা। তাদের সেসব অভিযান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আইএসপিআর জানায়, বিমান বাহিনীর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একঝাঁক পিটি-৬ উড়োজাহাজ ফরিদপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকার আকাশে ‘৫০’ এর অবয়ব তৈরি করে এবং রঙের খেলায় চমৎকার উড্ডয়ন শৈলী প্রদর্শন করে।
পাশপাশি সি-১৩০, কে-৮ডব্লিউ, পিটি-৬ উড়োজাহাজ, এমআই-১৭ ও বেল-২১২ হেলিকপ্টারের মনোমুগ্ধকর ফ্লাইপাস্ট এর আয়োজন করা হয় বলে আইএসপিআর জানায়।
দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সন্ধ্যায় ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আতশবাজির প্রদর্শনী। এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান প্রধান অতিথি হিসেবে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রতিষ্ঠার ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘কিলোফ্লাইট’ প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে স্বাধীনতাযুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সদস্যদের অবদান, আত্মত্যাগ, স্বাধীনতার চেতনা এবং দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়।
‘কিলো ফ্লাইট’ এর যোদ্ধা, বিমান বাহিনী সাবেক প্রধানরা, বিমান সদরের প্রিন্সিপাল ষ্টাফ অফিসার এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।