মঙ্গলবার রাজধানীর বনানী এলাকায় বিআরটিএ কার্যালয়ের সামনে রাইড শেয়ারিং মানববন্ধন থেকে তারা এ অনুরোধ জানান।
তারা বলেন, এখন বেসরকারি অ্যাপগুলোতে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দিতে হয়, যেটা তাদের পোষায় না। এই কমিশন ১০ শতাংশ করতে হবে।
চালকদের একজন নেতা শাহ আলম বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই, আমরা বহুজাতিক কোম্পানির বিদেশি অ্যাপ চাই না, আমরা চাই সরকারি অ্যাপ। তাহলে দেশের টাকা দেশে থাকবে। সরকারের আয়ও হবে অনেক।
“আমরা সারাদিন খেটে দিন শেষে পাঁচশ টাকাও নিয়ে যেতে পারছি না। অথচ ওরা অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে দিন শেষে কোটি টাকা নিয়ে যাচ্ছে। আর কতো বিদেশি কোম্পানি আমাদের শোষণ করবে?”
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাঁচ জায়গায় রাইড শেয়ারিং চালকদের চারটি সংগঠনের উদ্যোগে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সংগঠনগুলো হচ্ছে অ্যাপ বেইজড ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশ, ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভারস ইউনিয়ন, সম্মিলিত রাইড শেয়ারিং ড্রাইভারস চট্টগ্রাম এবং কোথায় যাবেন রাইড শেয়ারিং গ্রুপ সিলেট।
তাদের ছয়টি দাবির মধ্যে রয়েছে- রাইড শেয়ারিং চালকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান, রাইড শেয়ারিংয়ের কমিশন ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ, ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে রাইড শেয়ারিং যানবাহন দাঁড়ানোর জায়গা বরাদ্দ, পুলিশি হয়রানী বন্ধ, রাইড শেয়ারিংয়ে তালিকাভুক্ত যানবাহনগুলোকে অগ্রিম আয়করের বাইরে রাখা এবং গত বছর রাইড শেয়ারিং যানবাহনের কাছ থেকে আদায়কৃত অগ্রিম আয়কর মালিকদের ফেরত দেওয়া।
জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্ন্ত মানববন্ধনে অংশ নেন ঢাকা রাইড শেয়ারিং ড্রাইভারস ইউনিয়নের সদস্যরা।
সেখানে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, “আমরা দিনভর পরিশ্রম করে গাড়ির খরচ যুগিয়ে বাড়িতে পাঁচশ টাকাও নিয়ে যেতে পারি না। অথচ ওই রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানি ২৫ শতাংশ করে কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
“ঢাকায় আমাদের দাঁড়ানোর কোন জায়গা নেই। পুলিশ পার্কিংয়ের মামলা দিচ্ছে, হয়রানি হচ্ছেন চালকেরা। ঢাকায় গাড়ি রাখার জায়গা দিতে হবে।”
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সহসভাপতি ইস্রাফিল বিশ্বাস এখানে বক্তব্য দেন।