সব দেখে পল্লবী থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ওই বাড়ির পরিবেশ দেখে তার ‘অস্বাভাবিক’ মনে হয়েছে।
মৃত ব্যক্তির নাম রোকনউদ্দীন আহমেদ। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক ছিলেন বলে জানা গেলেও কোন সময়কালে তিনি শিক্ষকতা করতেন, তা জানাতে পারেনি পুলিশ।
রোকনুদ্দীনের স্ত্রী নীলুফার ইয়াসমিনকে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই বাসায় ছিল তাদের ছেলে শাহরিয়ার আহমেদ রূপম (৪০)।
রূপম পুলিশকে বলেছেন, দুদিন আগে তিনি তার বাবা-মাকে তাদের ঘরে গিয়ে দেখে এসেছিলেন। তখন তারা শুয়ে ছিলেন। সোমবার দুর্গন্ধ পেয়ে ওই ঘরে গিয়ে দেখেন যে তার বাবা মৃত, শরীর ফুলে গেছে। পাশেই শোয়া তার মা প্রায় অচেতন।
রুপম তখন ফোন করে প্রতিবেশীকে ঘটনাটি জানালে তারা থানায় খবর দেয়। তখন পুলিশ যায় সেই বাড়িতে।
লাশের পচন দেখে ডিএমপির পল্লবী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শাহ কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত ৩৬ ঘণ্টা আগে রোকনুদ্দীনের মৃত্যু হয়েছে।”
রুপমের বিষয়ে তিনি বলেন, “কথা বলে এবং আচরণে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, তার এই সন্তানটি শারীরিক এবং মানসিকভাবে বেশ অসুস্থ।”
পুলিশ জানতে পেরেছে, ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন রূপম। কিন্তু লেখাপড়া শেষ করেননি। বিয়ে হলেও ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
পল্লবী থানার এসআই শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রূপম তার ঘর থেকে খুব একটা বের হত না। সব সময় দরজা লাগিয়ে রাখত। খাবারও সেভাবে খেত না।”
কোনো আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে এই পরিবারের তেমন যোগাযোগ ছিল না বলেও জানান এসআই শফিকুল।
“তাদের ফ্ল্যাটের দরজা-জানালা সব সময় বন্ধ থাকত,” বলেন তিনি।
এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।