শনিবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর শনিবার দুপুরে এক পশলা বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি নেমেছে নাগরিক জীবনে। এসময় ঢাকায় ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ময়মনসিহে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানান, কয়েকদিন ধরে লঘুচাপের প্রভাবে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় এবং তাপমাত্রাও বাড়তে থাকায় রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
ঘূর্ণঝড়ের অবস্থান
শনিবার রাত ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ওই সময়ে মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান ছিল ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান বলেন, “এটি আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। বাংলাদেশে এর তেমন প্রভাব পড়বে না। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় এর প্রভাব পড়তে পারে।”
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সেইসঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব (গোলাপ)’ পাকিস্তানের দেওয়া নাম। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ।
এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়।
সবশেষ গেল মে মাসে ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণঝড় ‘ইয়াস’। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত বছর মে মাসে বাংলাদেশে যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল, তার নাম ছিল ‘আম্পান’।