ইসি নিয়োগে ‘আইন প্রণয়নের’ তাগিদ ৫৩ বিশিষ্ট নাগরিকের

নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে ‘আইন প্রণয়নের’ আহ্বান জানিয়ে এবং এ বিষয়ে মতামত দিয়ে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ৫৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2021, 03:51 PM
Updated : 25 Sept 2021, 03:51 PM

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এমন আহ্বান জানান।

এদের মধ্যে রয়েছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম।

এছাড়া রয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান, আকবর আলি খান ও রাশেদা কে চৌধূরী, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি আব্দুল মতিনসহ অন্যরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। তাই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের উদ্যোগ এখনই শুরু করতে হবে। এর প্রাথমিক পদক্ষেপ হবে একটি আইন প্রণয়ন করা।

“আমরা আশা করি যে, সঠিক ব্যক্তিদের নিয়ে ইসি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে সরকারের নির্দেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ জরুরি ভিত্তিতে গ্রহণ করবে।

“নাগরিক হিসেবে মতামত প্রদানের মাধ্যমে আমরা এ ব্যাপার প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে পারি।”

গত দুটি নির্বাচন কমিশন নিয়োগে রাষ্ট্রপতি দুটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন।

বিবৃতিতে ২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এবং ২০১৭ সালে কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে গড়া ওই দুটি কমিশনের সমালোচনা করা হয়।

সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে ‘আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে’ নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ প্রদানের নির্দেশনা থাকলেও গত ৫০ বছরে কোনো সরকারই এমন একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে।

“উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।”

এ জন্য প্রস্তাবিত আইনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করতে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠনের বিধান রাখার পরামর্শ দেওয়া হয় বিবৃতিতে।