উন্মুক্ত হল ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল এক্সিবিশন’

উপমহাদেশের দুই বরেণ্য নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহাত্মা গান্ধীর জীবনীনির্ভর তথ্যচিত্রের ডিজিটাল প্রদর্শনী জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2021, 08:50 AM
Updated : 25 Sept 2021, 10:37 AM

শনিবার শিল্পকলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে  ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল এক্সিবিশন’ উন্মুক্ত করা হয়।

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই আয়োজন করে। শনিবার ‍শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।

গত ২৬ মার্চ ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদী যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

ওই সময় পরিকল্পনা ছিলো, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুদিন চলার পর এক মাসের জন্য জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে স্থানান্তরিত হবে। পরে চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট শহরের প্রতিটিতে তিন সপ্তাহের জন্য চলবে।

সব শেষে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক মাস দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে ডিজিটাল প্রদর্শনীটি।

তবে করোনাভাইরাস মহামারীর বিস্তারের মধ্যে ওই সময় তা করা যায়নি।  তবে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী এখন এই প্রদর্শনী চলবে। চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও রাজশাহীতে প্রদর্শনীর পর কলকাতাতেও এই ডিজিটাল প্রদর্শনী যাবে।

বঙ্গবন্ধু বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীতে ২২টি তথ্যদেয়াল এবং শতাধিক ডিজিটাল উপস্থাপনা রয়েছে।

১৯৪৭ সালের অগাস্ট মাসে মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে তরুণ শেখ মুজিবুর রহমানের সাক্ষাতের একটি ছবি প্রর্দশনীতে রাখা হয়েছে। এটি একমাত্র ছবি যেখানে দুই নেতাকে একই ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে।

দর্শকরা তাদের অভিজ্ঞতা ভিডিওর মাধ্যমে দিতে পারবে। এছাড়া দুই নেতার সাথে ডিজিটাল মাধ্যমে ছবি তোলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে শনিবার বঙ্গবন্ধু বাপু ডিজিটাল এক্সিবিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

প্রদর্শনী উন্মুক্ত করার আয়োজনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, “ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহাত্মা গান্ধী দুজনেই জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করতেন। এবং দুজনই ঘৃণ্য বিরোধিতার শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু তারা নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন।”

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জনগণের এই দুই নেতার জীবনাদর্শ জানা প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির জন্য নয়, তার কর্ম দিয় বিশ্ব বন্ধুতে উন্নীত হয়েছিলেন।”

দীপু মনি বলেন, “বঙ্গমাতা ও কস্তুরভা গান্ধী নিজ নিজ জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধু এবং গান্ধীজিকে সে সহযোগিতা করেছেন তা অনেকে জানে না। এই প্রদর্শনী থেকে তা জানা যাবে।”

অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, “বাংলাদেশ এবং ভারতের জনগণের সংগ্রাম একসূত্রে গাঁথা। দুই দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যের মেলবন্ধন এই প্রদর্শনীতে ফুটে উঠেছে।”

জাতিসংঘ সদরদপ্তরের এই প্রদর্শনীর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমার জানা মতে, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম, জীবন ও আদর্শের কথা বিশ্ববাসী এখনও সঠিকভাবে জানে না। এই প্রদর্শনী সেটা করবে।”

ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারি অডিটরিয়ামের ওই অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।