‘আন্তঃজেলা ডাকাত দলের’ তিন সদস্য গ্রেপ্তার

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে পরপর দুটি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2021, 09:30 AM
Updated : 23 Sept 2021, 11:26 AM

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা রমনা বিভাগের একটি দল বুধবার ঢাকা মহানগরী, সাভার ও যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- জলিল মোল্লা, রিয়াজ ও দীপু। তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে পুলিশের ভাষ্য।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি রিভলবার, ৫০ রাউন্ড গুলি, দুটি মোটরসাইকেল এবং ডাকাতির এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার জানান।

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ডাকাতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে অস্ত্রসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি  বলেন, গত ২৮ অগাস্ট এক ব্যবসায়ী মতিঝিলের একটি মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ৬০ লাখ টাকা নিয়ে গাড়িতে রওনা দেন। ছয়জন ডাকাত মোটর সাইকেলে অনুসরণ করে মৌচাক ফ্লাইওভারের ওপর গাড়িটি থামায়।

“এসময় তারা আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে এবং হাতুড়ি দিয়ে গাড়ির গ্লাস ভেঙে ফেলে। এরপর ডাকাতরা গাড়ির ব্যাক ডালা খুলে ভেতর থেকে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।”

ওই ঘটনায় গত ২৯ অগাস্ট রমনা মডেল থানায় একটি মামলা করা হয় বলে জানান হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, এই চক্রটিই গত ৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এক ব্যবসায়ীর ২৫ লাখ টাকা ডাকাতি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় এক পথচারীকে গুলি করে।

“ওই ব্যবসায়ী মতিঝিল থেকে একটি ব্যাগে ২৫ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকাত দলের সদস্যরা তিনটি মোটরসাইকেলে তাকে অনুসরন করে। নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় পৌঁছালে সেই ব্যবসায়ীর পথ আটকে ২৫ লাখ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়।"

হাফিজ আক্তার বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে পথচারীরা জড়ো হয়ে প্রতিরোধ করতে চাইলে ডাকাতরা দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তাতে একজন পথচারী গুলিবিদ্ধ হন।”

ওই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আরেকটি মামলা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এই ডাকাত দলের একটি গ্রুপ বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জের কাছে অবস্থান করে। যে ব্যবসায়ীরা মানি এক্সচেঞ্জ থেকে টাকা নিয়ে বের হন, তাদের টার্গেট করে। তারা সেই তথ্য মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষায় থাকা দলের অন্যদের দেয়।

“তারা টার্গেট করা ব্যবসায়ীকে অনুসরণ করতে থাকে এবং সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছলে ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।”

গ্রেপ্তার তিনজনের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ঢাকার কোতোয়ালি থানায় আলাদা মামলা হয়েছে এবং এ চক্রের অন্যদেরও গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে হাফিজ আক্তার জানান।