অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন নার্গিস বেগম।
তার পক্ষে আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম জামিন শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কেএম ইমরুল কায়েশ জামিন নামঞ্জুর করে নার্গিসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেককে আটক করে র্যাব। ওইদিনই তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়। সেই মামলার রায়ে তাকে ১৫ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত।
এ গাড়িচালককে গ্রেপ্তারের পর তার অঢেল অর্থ বিত্তের তথ্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
ওই সময় র্যাব কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তুরাগের দক্ষিণ কামারপাড়ায় দুটি সাততলা ভবন, একই এলাকায় একটি ডেইরি ফার্ম, ধানমন্ডির হাতিরপুলে সাড়ে ৪ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০তলা ভবন ছাড়াও কলাবাগানসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি ফ্ল্যাট রয়েছে মালেকের। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থও জমা আছে।
এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে এক মামলায় শুধু মালেককে আসামি করা হয় এবং আরেকটিতে তার সঙ্গে তার স্ত্রীকেও আসামি করা হয়।
সাড়ে তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের ওই দুই মামলায় গত মঙ্গলবার অভিযোগপত্র অনুমোদন করে দুদক।
মালেকের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন বলা হয়, মালেক এক কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
অপর মামলায় নার্গিস বেগমের দুই কোটি ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৩১ টাকার সম্পদ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে বৈধ উৎস পাওয়া যায় এক কোটি এক লাখ ৪৩ হাজার ৩৮২ টাকা। বাকি এক কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।