মঙ্গলবার রাতে ঢাকার পল্টন থানা এলাকায় ‘সুইসড্রাম’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৪ এর কর্মকর্তা জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা এলএলএম কোম্পানির মত। অবৈধভাবে বিদেশ থেকে ওষুধ আনে, আর সে সব ওষুধ `সর্ব রোগের মহৌষধ' বলে প্রচার চালায়।
“ক্যান্সার, ডায়বেটিস ও হার্টের ছাড়াও করোনাভাইরাস প্রটেক্ট্রিভ হিসেবেও এসব ওষুধ কাজ করে বলে প্রচার চালিয়ে আসছিল সুইসড্রাম নামের প্রতিষ্ঠানটি।”
সুইসড্রামের পরিচালক কাজী আল আমীন ‘সর্ব রোগের মহৌষধ' বিক্রির নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- কাজী আলামিন (৩৪), মো. সালাউদ্দিন (৪৬), শেখ মো. আব্দুল্লাহ (৫৯), মনিরা ইয়াসমিন (৪৩), জাহিদ হাসান (৪২), স্বপন মিয়া (৩৮), মো. শাহজাহান (২৫), মিজানুর রহমান (৫০), বাদশা ওরফে সুলাইমান (২৬), ইমাম হোসাইন (৩৫), আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আনওয়ারুল ইসলাম (৪২), মিজানুর রহমান (৩৯), ফারুক উদ্দিন (৪৭), আঞ্জুমানআরা বেগম (৫২), শেখ রবিন (৩৩), ইমাম হোসাইন (৩৫) এবং আছমা বেগম (৩৫)।
র্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই প্রতারক চক্রের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী-সদস্য রয়েছে। এরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেকার ও অস্বচ্ছল যুবক-যুব নারীদের স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভের প্রলোভন দেখিয়ে এই ওষুধ বিক্রিতে কাজে লাগাত।
র্যাব কর্মকর্তা সাজেদুল বলেন, সুইসড্রাম যে সব ওষুধ বিক্রি করে থাকে, এগুলো বিএসটিআই, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনবিহীন। আর তাদেরও ব্যবসার ন্যূনতম বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই।