বেবিচক ও এলজিইডির ৩ প্রকৌশলীর সম্পদের হিসাব চায় দুদক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেবিচক ও এলজিইডির দুই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীসহ তিন জনের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2021, 02:18 PM
Updated : 22 Sept 2021, 02:18 PM

কমিশন থেকে এসব প্রকৌশলীকে পৃথক নোটিস দিয়ে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ সাদেক।

তিন কর্মকর্তা হলেন- বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ- বেবিচকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাকসুদুল ইসলাম ও সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস ভূঁইয়া এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর- এলজিইডি এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মজিবুর রহমান সিকদার।

বুধবার কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিসে বেবিচকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাকসুদুল ইসলামকে আগামী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে হিসাব জানাতে বলা হয়েছে বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ।

তিনি জানান, মাকসুদুল ইসলামের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এ নোটিসে পাঠানো হয়েছে।

নোটিসে মাকসুদুলকে তার নিজের, স্ত্রীর এবং তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে।

নোটিসে বলা হয়, "নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে আইন মোতাবেক আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কমিশন।"

এদিকে বেবিচকের সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস ভূঁইয়া ও তার দুই স্ত্রীর নামে থাকা সম্পদের হিসাব জমা দিতে আলাদা নোটিস পাঠিয়েছে দুদক।

দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে নোটিসে ইউনুস এবং তার দুই স্ত্রী মরিয়ম নেছা ও মারুফা আক্তারকে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা আরিফ।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাদেরকে এই নোটিস পাঠানো হয়।

এদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের আলাদা আরেকটি অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এলজিইডি এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মজিবুর ও তার স্ত্রীর সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক।

দুদক কর্মকর্তা আরিফ জানান, নোটিসে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্বনামে/বেনামে সম্পদ অর্জনের অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে মজিবুরকে তার নিজের, তার স্ত্রীর এবং তাদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তাদেরকেও নোটিস পাওয়ার পর ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।