আদালতে এই মামলাটি করেছেন মুজাহিদুর রহমান নামে এক ব্যক্তি, যিনি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) কিনতে ইভ্যালিতে অর্থ পরিশোধ করেও পণ্যটি পাননি।
মামলায় তিনি ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে আসামি করেছেন।
প্রতারণার আরেক মামলায় রাসেল ও শামীমা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে রয়েছেন।
বুধবার দুপুরে ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে মুজাহিদুর রহমান মামলাটি করেন।
ওই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, “আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ধানমণ্ডি থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছেন।”
আরজিতে মুজাহিদ বলেন, ইভ্যালিতে ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের দুই টন এসি এবং ২৩ হাজার টাকা মূল্যের একটি কাঠের টি টেবিল অর্ডার করেছিলেন তিনি। গত বছরের ১১ জুলাই এসি বাবদ ৮৫ হাজার এবং ২২ জুলাই টেবিল বাবদ ২৩ হাজার টাকা ইভ্যালিতে পাঠান।
পণ্য দুটি ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার প্রতিশ্রুতি ইভ্যালি দিলেও নির্দিষ্ট সময় পরও তা না পেয়ে রাসেলকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন মুজাহিদুর।
এরপর ইভ্যালি টেবিলের জন্য নেওয়া টাকা ফেরত দিলেও এসির টাকা আর ফেরত দেয়নি বলে জানান তিনি।
মুজাহিদুর বলেন, গত ২৫ মে ইভ্যালির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসি ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই এসি তিনি পাননি। আর অর্থও তিনি ফেরত পাননি।
পুরনো খবর