সোমবার রাতে পল্লবী থানাধীন বাউনিয়াবাঁধ এলাকা থেকে মোহর আলী মোহন (৩৬) ও সোমা আক্তার (২৮) নামে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব- ৪ এর মিরপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ কামরুল সোহেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বাউনিয়াবাঁধ এলাকায় যুব সমাজ একতা বহুমুখী সমবায় সমিতি এবং ঢাকাস্থ শরীয়তপুর শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে দুটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে মোহন ‘প্রতারণার ফাঁদ’ খুলে বসেছিল। সমিতির সদস্য বানিয়ে সোমা আক্তারকে প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা হত।
এক পানের দোকানি ২০ হাজার টাকা এই সমিতির কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিল জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা জানান, তার কাছ থেকে মোহন ফাঁকা স্ট্যাম্পে এবং ব্যাংকের চেকের পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে রেখে দেয়।
“পরে তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা আদায় করে এবং কিছুদিন পরে তার কাছে ছয় লাখ টাকা চায়। এই ছয় লাখ টাকা না দেওয়ায় ফাঁকা স্ট্যাম্প এবং চেকবইয়ে নিজেদের মতো অঙ্ক বসিয়ে ৬ লাখ টাকা দাবি করে।”
পরে ওই পান দোকানি মোহনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
একই ভাবে স্ট্যাম্প এবং চেকের পাতা রেখে স্থানীয় এক নারীকে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঋণ দেন মোহন। কিছু দিন পরে ওই নারীর কাছে ১৪ লাখ টাকা দাবি করা হয় বলে জানায় র্যাব।
মেজর কামরুল বলেন, ওই এলাকাটি নিম্ন আয়ের মানুষের এবং তাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে নানা ধরনের অপরাধ করে আসছিলেন মোহন। তার এসব কাজে সোমা সহায়তা করতেন।
এই দুই সমিতির প্রায় ছয় হাজার গ্রাহক আছে বলে জেনেছে র্যাব। সবার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।