আদালত পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার মো. জাফর আহমেদ জানান, গুলশানের মামলায় রাসেল ও শামীমাকে তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মঙ্গলবার তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হচ্ছে।
“গুলশান থানার মামলায় তাদের আর রিমান্ডে চাওয়া হবে না। তবে ধানমন্ডি থানার মামলায় তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।”
আরিফ বাকের নামে এক গ্রাহক গত ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করার পর সেদিনই মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরদিন পুলিশ তাদের আদালতে হাজির করলে ঢাকার মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে ওই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
মামলার বাদী আরিফ বাকের তার অভিযোগে বলেন, ইভ্যালির বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে তিনি ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার পণ্যের অর্ডার দেন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তাকে কোনো পণ্য সরবরাহ করা হয়নি।
পণ্যের ব্যাপারের ইভ্যালির অফিসে এবং পরে সিইও মো. রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘প্রাণনাশের হুমকি’ দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
গুলশান থানার মামলায় রাসেল ও শামীমা রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ধানমণ্ডি থানায় তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন কামরুল ইসলাম চকদার নামের এক গ্রাহক। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ২০ জনকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, চুক্তির মাধ্যমে বাদীর চারটি কোম্পানি থেকে ইভ্যালিকে মোট ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার পণ্য সরবরাহ করা হলেও দাম পরিশোধ করা হয়নি। এসব পণ্যের দাম বাবদ ইভ্যালি চেক দিলেও অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা দুই বার ফেরত আসে।
এদিকে রাসেল ও তার স্ত্রীর মুক্তিসহ সাত দফা দাবিতে ঢাকার হাকিম আদালতের সামনে মানববন্ধন করেছে একদল লোক, যারা নিজেদের ইভ্যালির গ্রাহক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ই-কমার্স মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এ মানববন্ধন শুরু করেন তারা। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।