ছাত্র-যুব পরিষদ নেতাদের পক্ষে আদালতে দাঁড়ালেন জাফরুল্লাহ

ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ২০ নেতার পক্ষে আদালতে কথা বললেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2021, 01:43 PM
Updated : 19 Sept 2021, 01:44 PM

রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে ওই ২০ জনের জামিন আবেদনের শুনানি হয়।

তাদের জামিন দেওয়ায় আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই উদ্যোক্তা।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম কৌঁসুলি তাপস পাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জামিন হওয়ার পর জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিচারকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্যদের পক্ষে কথা বলেন।”

গত মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে কর্মসূচি থেকে সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর নেতৃত্বাধীন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ২০ নেতাকে।

তাদের মুক্তির দাবিতে নানা কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া জাফরুল্লাহ চৌধুরী জামিনের আদেশ দেওয়ায় বিচারককে ধন্যবাদ জানান।

বক্তব্যে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাবরণের নানা ঘটনা তুলে ধরেন।

জাফরুল্লাহ বলেন, “ছাত্রদের অপরাধটা কী? পুলিশ মিথ্যা বলেছে, ছাত্রদের হাতে কোনো লাঠি ছিল না।

“একজন বিচারকের দায়িত্ব হচ্ছে, আমাদের কথা বলতে দেওয়া ও কথা শোনা। বিচারক আমার কথা শুনেছেন। ন্যায় কাজ করেছেন।”

জামিন শুনানি শুরুর আগেই নুরকে সঙ্গে নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

শুনানি শুরুর আগে তিনি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে বলেন, “ছেলেরা দীর্ঘ ছয় মাস ধরে কারাগারে আছে। আপনারা তাদের জামিন দেন। পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হচ্ছে তাদের। এসব ছাত্রের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আপনারা এসব বিবেচনায় জামিন দিয়েন।”

তখন তার এই বক্তব্য আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে তোলার পরামর্শ দেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল।

ছাত্র-যুব পরিষদের নেতাদের জামিন আবেদনের মূল শুনানি করেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

জামিন পাওয়া ২০ জন হলেন- মো. ইউনুস, নাজমুল হাসান, নাহিদুল তারেক, মো. নাইম, আসাদুজ্জামান, আজহারুল ইসলাম, সোহেল মৃধা, মোস্তাক আহমেদ, আজিম হোসেন, মো. রুহুল ইসলাম সোহেল, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিশান, মো. সোহেল আহমদ, শেখ খায়রুল কবির, সবুজ হোসেন, গোলাম তানভীর, মো. হেমায়েত, ইসমাইল হোসেন, মো. রেজাউল করিম, মুনতাজুল ইসলাম ও কাজী বাহাউদ্দীন মনির।