ইসিপিএস: রাজউকে নকশা অনুমোদনের প্রক্রিয়া এখন অনলাইনে

ভবনের নকশা অনুমোদন থেকে শুরু করে ব্যবহারের সনদ দেওয়া পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে ইলেকট্রনিক কনস্ট্রাকশন পারমিটিং সিস্টেম-ইসিপিএস চালু করেছে রাজউক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2021, 01:01 PM
Updated : 19 Sept 2021, 01:12 PM

রোববার ঢাকার একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এ পদ্ধতির উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

প্রাথমিকভাবে রাজউকের জোন-৩, সাবজোন-২ (গুলশান, মিরপুর, সাভার, টঙ্গী) এবং জোন-৪ ও সাবজোন-২ এলাকায় ইসিপি পদ্ধতির সেবা পাওয়া যাবে। পরে রাজউকের জোন-৬, সাবজোন-২ এলাকার জন্য এ সেবা চালু করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের’ আওতায় এই পদ্ধতি চালু করলো গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা রাজউক।

৫৩৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের’ জন্য ৫০১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। বাকি ৩৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার অর্থায়ন হচ্ছে সরকারিভাবে। এই প্রকল্পের আওতায় হচ্ছে ‘ইসিপিএস’।

ইসিপি পদ্ধতিতে ভবন নির্মাণে সেবা পেতে আবেদনকারীর জন্য অনুষ্ঠানে uru.gov.bd নামে একটি ওয়েবসাইটেরও উদ্বোধন করা হয়েছে।

নতুন এই পদ্ধতিতে ভূমিকম্প ঝুঁকি প্রশমনের দিক বিবেচনা নিয়ে সেইভাবে অবকাঠামো নির্মাণের অনুমোদন, তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউট- আইএবি ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ- আইইবি এর সঙ্গে আলাদা চুক্তি করেছে রাজউক।

অনুষ্ঠানে রাজউকের চেয়ারম্যান এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী দুই চুক্তিতে সই করেন।

অন্যদিকে আইএবি এর সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ও আইইবি এর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন শিবলু নিজের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

ইসিপি পদ্ধতি চালুর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, “এই সিস্টেম চালু হওয়ার ফলে ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর রাজউকের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার সুযোগ হয়েছে।

“রাজউকের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী এই নতুন সিস্টেমে কাজ করবেন তাদেরকে ইতোমধ্যে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে।”

রাজউকের চেয়ারম্যান বলেন, “ঢাকা মহানগরী এলাকায় পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ, বিধিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড, ভূমি উন্নয়ন বিধিমালা বাস্তবায়নের লক্ষে রাজউক কাজ করে যাচ্ছে।“

এর অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরীতে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প বাস্তায়ন হচ্ছে। এই প্রকল্পের তিনটি অংশের মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং রাজউক কাজ করছে বলে জানান তিনি।

ইসিপি সিস্টেম চালুর সুবিধা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই সিস্টেমের ফলে আমাদের কাজে অনেক সময় বাঁচবে, ট্রান্সপারেন্সি নিশ্চিত হবে। ব্যয় সংকোচন হবে, পেপারলেস কাজ হবে। গুড গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠা হবে। রাজউককে নিয়ে যেসব অভিযোগ শুনি- ভবন নির্মাণ, তদারকিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ভোগান্তি, সেগুলোতে থেকে আমরা মুক্তি পাব।”

অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, বিশ্বব্যাংকের দুর্যোগ ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ স্বর্ণা কাজী, রাজউকের কর্মকর্তা ‘আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের‘পরিচালক আবদুল লতিফ হেলালী প্রমুখ বক্তব্য দেন।