শনিবার তিনি দেশে ফিরে আসেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
মার্কিন সেনাবাহিনী ও পাপুয়া নিউ গিনি ডিফেন্স ফোর্স যৌথভাবে তিন দিনের এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আইএসপিআর জানায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সম্মেলনের প্রথম দিনে সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন আহমেদ মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের সক্ষমতা এবং মার্কিন আর্মি প্যাসিফিক কমান্ড পরিচালিত একটি অগ্নিকাণ্ডের মহড়া অবলোকন করেন।
দ্বিতীয় দিনে তিনি ‘দি চেঞ্জিং ফিজিক্যাল এনভাইরনমেন্ট অব ল্যান্ড অপারেশন’ এবং ‘দি ইভলভিং হিউম্যান এনভাইরনমেন্ট অব ল্যান্ড অপারেশন’ শীর্ষক প্লেনারি সেশনে অংশ নেন।
এতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল জেমস মেকনভিল স্বাগত ভাষণ দেন।
এতে বলা হয়, সম্মেলনে শেষ দিনে জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ মার্কিন আর্মি প্যাসিফিক কমান্ডের কমান্ডিং জেনারেল- জেনারেল চার্লস এ. ফ্লিন এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
তিনি ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আন্দিকা পেরকাসা, দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল নাম ইয়ং শিন, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার ইন চিফ অব রয়্যাল থাই আর্মি জেনারেল পর্নসাক পুলসাওয়াদ, কমান্ডার পাপুয়া নিউগিনি ডিফেন্স ফোর্স মেজর জেনারেল গিলবার্ট টরোপো, কমান্ডার মঙ্গোলিয়ান ল্যান্ড ফোর্স কমান্ড মেজর জেনারেল বুজিনভ আমগালানবাটার, চিফ অব স্টাফ সিঙ্গাপুর আর্মি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফ্রেডেরিক চো এবং মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের কমান্ড্যান্ট সার্ভিস কোরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদ শাফিক এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
আইএসপিআর জানায়, এসব সাক্ষাতে বাংলাদেশ এবং দেশগুলোর সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সেনাপ্রধান আলোচনা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে সেনাবাহিনী প্রধানের এই সফরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে বলে আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তিতে আশা প্রকাশ করেছে।