ঢাকায় হত্যাচেষ্টার দুই আসামি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

ঢাকার খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে কুমিল্লা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2021, 09:13 AM
Updated : 18 Sept 2021, 09:29 AM

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মনিরুজ্জামান সুমন ও মো. ইমন।

শুক্রবার কুমিল্লা জেলার বড়ুরা থানার আমড়াতলি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে শনিবার ডিএমপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যে খিলগাঁও থানার ত্রিমোহনী থেকে দুটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা দক্ষিণের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুলকে গত ১৫ মে সন্ধ্যায় খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচে গুলি করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় সাইফুলের স্ত্রী সবুজবাগ থানায় মামলা করেন।

পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ বলেন, দলাদলি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জানতে পেরেছেন।

“সাইফুল, কচি, রিপন ও সুমন বন্ধু ছিলেন। সাইফুল পদ পাওয়ার পর থেকে তাদের মাঝে সম্পর্কে ফাটল সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তারা পৃথক পৃথক দল হয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতে থাকে। রিপন গ্রুপের সদস্য বাশার হত্যা মামলায় সাইফুল প্রধান আসামি ছিলেন। এরপর সাইফুল জেল থেকে জামিন নিয়ে বের হলে সুমন ও রিমন গ্রুপ এলাকায় আধিপত্য কমে যাওয়ার ভয়ে একত্রিত হয়ে তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে।”

এই মামলায় নয়জন আসামির মধ্যে মঞ্জুরুল হক কচি, রাসেল তালুকদার, উজ্জল তালুকদার ও মো. আমিরকে আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা: ৩ জন গ্রেপ্তার

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ও বন্ধুত্ব করে প্রতারণার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার কল্যাণপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- কবির হোসেন, শামসুল কবীর ও ইয়াছিন আলী।

পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ বলেন, তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের ২৫৭টি চেক বই, ২৩৪টি ডেবিট কার্ড, ৮টি মোবাইল ফোন ও ১১টি মোবাইল সিম জব্দ করা হয়। 

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ বলেন, 'ড্রিম জবস ইন কানাডা' নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে প্রতারক চক্রটি বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে প্রতারণা চালিয়ে আসছিল।

তিনি বলেন, “প্রথম গ্রুপ ফেইসবুকে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উপহার পাঠানোর কথা বলে কাস্টমস কর্মকর্তা সেজে ফোন করে। দ্বিতীয় গ্রুপের কাজ হলো বিভিন্ন নামে ব্যাংক হিসাব খোলা। এসব হিসাবধারীরা কমিশনের বিনিময়ে নিজের বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলতে থাকে এবং ঘন ঘন বাসা এবং মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে।

“চক্রের তৃতীয় গ্রুপ এসব ব্যাংক হিসাবধারীদের স্বাক্ষরিত চেকবইয়ের পাতা এবং এটিএম কার্ড এবং কার্ডপিন কুরিয়ারের মাধ্যমে সংগ্রহ করে। চতুর্থ গ্রুপ প্রতিদিন ভুক্তভোগীদের জমাকৃত টাকা চেক বা কার্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করে একজন ম্যানেজারের হাতে তুলে দেয়। ম্যানেজার এই টাকা তাদের কথিত বসের হাতে পৌঁছায়। এভাবে সাপ্তাহিক বন্ধ ছাড়া প্রতিদিনি হাতিয়ে নিচ্ছে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা।”

চক্রটির কথিত ‘বস’কে শনাক্ত করা গেছে কি না- জানতে চাইলে হাফিজ আক্তার বলেন, “আমরা এখনও তাদের বসকে শনাক্ত করতে পারিনি। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”