প্রভাবিত হয়ে আফগান প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেব না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান বা অন্য কোনো দেশকে দেখে নয়, আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ‘নিজস্ব’ সিদ্ধান্তে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2021, 12:59 PM
Updated : 9 Sept 2021, 12:59 PM

ইউরোপের তিন দেশ সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি একথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর দুই দশক বাদে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে কট্টর ইসলামী গোষ্ঠী তালেবান।

তারা ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশ এখনও তাতে সমর্থন কিংবা প্রত্যাখ্যানের কথা জানায়নি।

মোমেন বলেন, “তারা (ইউরোপে) কেউ কেউ বলেছে, বিবিসি বলেছে, আপনারা ইন্ডিয়া যেটা করবে, সেটা করবেন কি না? কিংবা পাকিস্তান যেটা করে, সেটা করবেন কি না?

“আমরা বলেছি যে, কে কী করল আমরা দেখব না।”

যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের নেতারাও বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চেয়েছিল বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।

মোমেন বলেন, “আমাকে সবাই জিজ্ঞেস করেছেন, আমরা ওনাদের ব্যান্ডওয়াগনে জয়েন করব কি না? আমাদের কী পজিশন?

“আমরা বলেছি যে, আফগান ইস্যুটা আমরা এখনও পর্যবেক্ষণে আছি। তারা বলছেন যে, নতুন সরকারকে আমরা স্বীকৃতি দেব কি না? আমরা বলেছি, তাদের অবস্থা দেখি। তাদের এটিচিউড, তাদের পলিসিস, তাদের প্রজেক্টস- এগুলো দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”

সার্কভুক্ত দেশ আফগানিস্তানে সেদেশের জনগণের বৃহত্তর অংশের সমর্থনে সরকার গঠিত হলে, তাদের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।

“আমরা চাই আফগানদের উন্নতি হোক। আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্রে। বৃহত্তর জনগণের ইচ্ছায় যদি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে আমাদের উচিৎ তাদেরকে উৎসাহিত করা, তাদেরকে স্বাগত জানানো।”

আফগান পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের নিজের দেশের ওয়েলফেয়ার হচ্ছে। আফগানিস্তান আমাদের সার্কের সদস্য। তাদের সাথে আমাদের কিছু সম্পর্কও আছে, ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে।

“কিন্তু বিগত তালেবান সরকারের সময়ে আমাদের দেশের কিছু লোক ওখানে গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। আমরা জিরো টলারেন্স, আমরা কোনো সন্ত্রাসীকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেব না।”

গত ৩০ অগাস্ট নেদারল্যান্ডস, জেনিভা ও যুক্তরাজ্য সফরের জন্য দেশ ছাড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফেরেন তিনি।

জলবায়ু বিষয়ক বিভিন্ন আয়োজনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব, জাতিসংঘের ২৬তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ২৬) নির্বাচিত সভাপতি অলক শর্মা, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার মিশেল ব্যাশেলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।