ই-অরেঞ্জ: ভারতে গ্রেপ্তার পুলিশ পরিদর্শক সোহেলকে ফেরাতে উদ্যোগ

ই-অরেঞ্জ কেলেংকারির ঘটনার পর ভারতে অবৈধভাবে পালিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া পরিদর্শক সোহেল রানাকে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2021, 02:28 PM
Updated : 7 Sept 2021, 02:40 PM

এরই মধ্যে ইন্টারপোলের নয়াদিল্লীর ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোতে (এনসিবি) দুই দফা চিঠি পাঠান হয়েছে বলে জানান ঢাকায় এনসিবির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের এআইজি মহিউল ইসলাম।

অনলাইন মার্কেটপ্লেস ই-অরেঞ্জ দীর্ঘ সময় পরও পণ্য কিংবা অগ্রিম অর্থ ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি গুলশান কার্যালয়ে বিক্ষোভ করে গ্রাহকরা।

গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পণ্য কিংবা অর্থ ফেরত দিতে ‘টালবাহানা’ করছে বলে অভিযোগ তাদের। ই-কমার্স প্লাটফর্মটির গুলশানের কার্যালয় যেমন বন্ধ, তেমনি কর্মকর্তাদের খোঁজও পাচ্ছেন না গ্রাহকরা।

ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে এক ভুক্তভোগী ৩১ অগাস্ট ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগ করলে ২ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় সিটি মামলা হিসাবে গ্রহণ করে।

মামলার পর ই-অরেঞ্জের সঙ্গে বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে। প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর সোহেল রানা পালিয়ে যান।

২ সেপ্টেম্বর অবৈধভাবে ভারতে ঢোকেন সোহেল। নেপাল যেতে উদ্যত তাকে চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে  আটক করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা হয়েছে।

এদিকে কেলেংকারির ঘটনার পরই পরিদর্শক সোহেল রানাকে বরখাস্ত করার কথা জানান গুলশানের উপকমিশনার আসাদুজ্জামান।

বিএসএফের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বিজিবির আশ্বাস দিয়েছে বলে এর আগে আসাদুজ্জামান জানিয়েছিলেন।

এর মধ্যে গ্রেপ্তার সোহেল রানার বিষয়ে তথ্য জানতে এনসিবি দিল্লীকে চিঠি দেয় এনসিবি ঢাকা।

সেই চিঠির কোনো জবাব এখনও আসেনি জানিয়ে এআইজি মহিউল বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার সোহেল রানার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে তাকে ফিরিয়ে আনতে সহযোগিতা চেয়েছে।

তার সূত্র ধরে এনসিবি দিল্লিতে মঙ্গলবার একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দুিদিন আগে এনসিবি স্বউদ্যোগে আরেকটি চিঠিও দিয়েছিল। তবে এখনও কোনো চিঠির জবাব আসেনি।

ভারতের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তি থাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে বলে মনে করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

তদন্ত চলছে, অগ্রগতি নেই

এদিকে সোহেল রানাসহ ই-অরেঞ্জের ১০ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত করছে গুলশান থানা পুলিশ।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, মামলায় গ্রাহকদের সাথে ই অরেঞ্জের কি পরিমাণ দেনা-পাওয়া রয়েছে, ই অরেঞ্জের সাথে জড়িতদের ব্যাংক একাউন্টে কি পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়েছে, তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি কি পরিমাণ রয়েছে তদন্তে এসব বিষয়ে আসবে।

উপ কমিশনার আসাদুজ্জামান জানান, তারা মামলার তদন্ত করেছেন। তদন্তের প্রয়োজনে যে সব তথ্য জানা দরকার বা কারো সহায়তা দরকার তার সবটাই করা হচ্ছে।