এ সংক্রান্ত অভিযোগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও কমিশনের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদেরকে আগামী ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অভিযোগের বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানা প্রয়োজন, কমিশনে এসে বক্তব্য দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
ব্যাংকটির দুই পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম ও একেএম মোস্তাফিজুর রহমানকে পরদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে সংস্থাটি।
দুদক থেকে চিঠি পেয়েছেন জানিয়ে পারভেজ তমাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা দুদককে সব সময় সহযোগিতা করতে চাই। যে অভিযোগ নিয়ে আমাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে নির্ধারিত সময়ে কমিশনে যাব, বক্তব্য দেব।”
প্রবাসী উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠিত এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন পাপুল, যেখানে তার বড় অঙ্কের শেয়ার রয়েছে।
ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, “পাপুল সাহেবকে আমি আগে চিনতাম না। তার সাথে আমার যোগাযোগও ছিল না। আমি রাশিয়া থেকেছি, সেখান থেকে এসে এই ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছি।
অর্থ ও মানবপাচার এবং ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গত বছর জুনে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন পাপুল। ব্যবসার সূত্রে সেখানে তার বসবাসের অনুমতি ছিল।
ওই মামলার বিচার শেষে গত ২৮ জানুয়ারি তাকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় কুয়েতের একটি আদালত।
এরপর রায় ঘোষণার দিন থেকে তার আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি গেজেট জারি করে জাতীয় সংসদ সচিবালয়।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে গত বছর পাপুলের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেছে দুদক। এক মামলায় পাপুলের সঙ্গে তার স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, তার শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামকেও আসামি করা হয়।
ওই নির্বাচনে ওই আসনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু জাতীয় পার্টির প্রার্থী শেষ মুহূর্তে ভোট থেকে সরে দাঁড়ালে ‘বিএনপি ঠেকানোর’ কথা বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ পাপুলের পক্ষে কাজ করে বলে দলটির নেতাদের ভাষ্য।
পাপুল নিজে এমপি হওয়ার পর স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের কোটায় পাওয়া সংরক্ষিত একটি আসনে তার স্ত্রী সেলিনা ইসলামকে এমপি করে আনেন।