‘দালাল ধরে’ ভারতে পালান পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা

ই-অরেঞ্জ ‘সংশ্লিষ্ট’ পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা ‘দালাল ধরে’ ভারতে পালিয়েছিলেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদককামাল হোসেন তালুকদারবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2021, 01:31 PM
Updated : 5 Sept 2021, 07:15 PM

পরিদর্শক সোহেল রানা

এই পুলিশ কর্মকর্তা ভারতে গিয়ে ধরা পড়ার পর তার সহকর্মীদের কাছে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ রোববার সাংবাদিকেদের্ জিজ্ঞাসায় বলেন, “আপনারা বুঝতে পারছেন স্পষ্ট যে, উনি (সোহেল রানা) নিয়মিত পথে যাওয়ার চেষ্টা করেননি, অনিয়মিতভাবে চেষ্টা করেছেন।”

আইজিপি সরাসরি কিছু না বললেও পুলিশের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলেন সোহেল রানা।

“দালালকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যান তিনি।”

চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে সোহেল রানাকে আটক করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। তার গন্তব্য ছিল নেপাল।

কীভাবে সোহেল রানা দেশ ছাড়লেন, সে ক্ষেত্রে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলেন পুলিশ প্রধান।

অনলাইন মার্কেটপ্লেস ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলার পর তার সঙ্গে বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও ওঠে।

ই-অরেঞ্জের মালিকসহ প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর সোহেল রানা পালিয়ে যান।

শনিবার ভারত-নেপাল সীমান্তে তার ধরা পড়ার খবর চাওয়ার হওয়ার পর পুলিশের কোনো কর্মকর্তা মুখ খুলছিলেন না।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার সোহেল রানা অফিস করেছিলেন। তারপর থেকে তিনি নিরুদ্দেশ।

পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর বলেন, যেহেতু ভারতের সঙ্গে আসামি প্রত্যার্পণ চুক্তি রয়েছে। তাই সোহেল রানাকে আসামি হিসেবে ফেরত আনা যাবে।

“যেহেতু সেখানে মামলা (ভারত) হয়েছে, আসামি হিসেবে ফিরিয়ে আনা যাবে বলে আমরা মনে করি। গতকালও (শনিবার) আনঅফিসিয়ালি যোগাযোগ করা হয়েছে। এখন ফরমালি আবেদন করব।”

সরকারি চাকরি বিধি অমান্য করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সোহেল রানা ২০০৩ সালে পুলিশ বাহিনীতে এসআই হিসেবে যোগ দেন। ওই বছরই আরও ২১ জনের সঙ্গে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন তিনি। তবে ২০০৮ সালে চাকরি ফিরে পান।

বোট ক্লাব নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন আইজিপি

চিত্রনায়িকা পরীমনির মামলার ফলে আলোচনায় উঠে আসা ঢাকা বোট ক্লাবে নিজের সম্পৃক্ততা নিয়ে যে প্রশ্ন সংসদে উঠেছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাইলেন না পুলিশ প্রধান বেনজীর।

সরকারি কর্মচারী হিসেবে বেনজীর এই ধরনের ক্লাবে থাকতে পারেন কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন একজন সংসদ সদস্য।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, “আমি তো পার্লামেন্ট মেম্বার না, আর যেগুলো পার্লামেন্টে আলোচনা হয়, তা পার্লামেন্টের মধ্যেই থাকে।

“পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য কী বলেছেন। তার পাল্টা বক্তব্য আইজিপি এখানে দিবে না এই জন্য, কারণ পার্লামেন্টের বক্তব্যের কোনো পাল্টা বক্তব্য হয় না 'বাই দা ল'।”