এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার যে পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে, তা থেকে কোনোভাবেই না সরার আহ্বান জানিয়েছেন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এই শিক্ষক।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আর কোনো প্রহসন, প্রতারণা নয়, সরকারের অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দায় স্বীকার করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও মনে করেন তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আনু মুহাম্মদ।
“শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর ভয় পাই বলেই তারা যতদিন পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে চায়।”
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে বলেন, “মানুষের জীবন ধারণের ৫টি মৌলিক শর্তের সবগুলোই খোলা রেখে মানুষ জীবন নির্বাহ করে। বাংলাদেশে করোনা মহামারীতে চারটি মাত্র শর্ত পূরণ করা হচ্ছে, কিন্তু শিক্ষা লাভের যে মৌলিকতা, সেটা অগ্রাহ্য করা হচ্ছে।
“করোনা এখনই পৃথিবী থেকে চলে যাবে না, একে নিয়েই আমাদের এই নব্য স্বাভাবিকতায় বসবাস করতে হবে। তাই, সংক্রমণের উপর নির্ভর করেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে হবে এবং বন্ধ করতে হবে। কেউ যদি মনে করেন, একবারেই বন্ধ রাখতে হবে, তাহলে উনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন।”
ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ আয়োজিত এই আলোচনা অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম ও ইমতিয়াজ মাহমুদ, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, সিপিবি নেতা ক্বাফি রতন, শিক্ষা আন্দোলন কর্মী রাখাল রাহাও বক্তব্য রাখেন। অনিক রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায়র ছিলেন রাগিব নাঈম।
রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, “শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক, সামাজিক সকল সমস্যার দেখভাল না করে উলটো বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল কলেজ সব বন্ধ রেখেছে সরকার। শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতিপূরণ সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।”
ক্বাফি রতন বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অনেকে ঝরে পড়বার ঝুঁকিতে আছেন। সরকারের এদিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কোনোভাবেই যাতে কোনো শিক্ষার্থী ঝরে না পড়ে।”