লেখক-গবেষক বশীর আলহেলাল আর নেই

লেখক ও গবেষক বাংলা একাডেমির ফেলো এবং সাবেক পরিচালক বশীর আলহেলাল মারা গেছেন; তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2021, 01:22 PM
Updated : 31 August 2021, 01:22 PM

মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে ঢাকায় মোহাম্মদপুরের বাসায় তার মৃত্যু হয় বলে তার মেয়ে লায়েকা বশীর জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বাবা বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন। মাসখানেক আগে কোভিড হয়েছিল।”

দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বাংলা একাডেমিতে বিকালে বশীর আলহেলালের জানাজা হয়। রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে।

বাংলা একডেমির ফেইসবুক পেইজে মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদাকে উদ্ধৃত করে ‘ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস’ এবং ‘বাংলা একাডেমির ইতিহাস’- বইয়ের লেখক বশীর আলহেলালের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।

বিকালে জানাজা শেষে এই প্রাবন্ধিক ও কথাসাহিত্যিকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে।

বশীর আলহেলালের প্রথম গল্পের বই ‘স্বপ্নের কুশীলব’। তার অন্যান্য গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- ‘প্রথম কৃষ্ণচূড়া’, ‘আনারসের হাসি’, ‘বিপরীত মানুষ’, ‘ক্ষুধার দেশের রাজা’, ‘গল্পসমগ্র-প্রথম খণ্ড’।

এছাড়া ‘কালো ইলিশ’, ‘ঘৃতকুমারী’, ‘শেষ পানপাত্র’, ‘নূরজাহানদের মধুমাস’, ‘শিশিরের দেশে অভিযান’ ও ‘যে পথে বুলবুলিরা যায়’ তার লেখা উপন্যাস।

বশীর আলহেলালের জন্ম ১৯৩৬ সালের ৬ জানুয়ারি। ১৯৫৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় পড়াশোনা শেষ করে তিনি পত্রিকায়ও কাজ শুরু করেন।

১৯৬৮ সালে ঢাকায় আসার পর ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ  গ্রহণ করেন এই লেখক।

১৯৬৯ সালের শুরুতে সহ-অধ্যক্ষ হিসেবে বাংলা একাডেমিতে নিযুক্ত হন। বাংলা একাডেমিতে প্রায় ২৪ বছরের কর্মজীবন কাটিয়ে ১৯৯৩ সালে পরিচালক হিসেবে তিনি অবসর নেন।

এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন বশীর আলহেলাল।